রেললাইনে দাঁড়িয়ে মোবাইলে কথা বলায় প্রাণ গেল শিক্ষকের
ঈশ্বরদীর মুলাডুলি রেলওয়ে স্টেশন
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলিতে যাত্রীবাহী আন্তঃনগর বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন রকিবুল আলম মফিজ (৪৭) নামে এক শিক্ষক। মঙ্গলবার ( ১৬ মার্চ) দুপুরে ঈশ্বরদী-সিরাজগঞ্জ লাইনের মুলাডুলি রেলওয়ে স্টেশন থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
স্বজনদের কোনো অভিযোগ না থাকায় সুরতহাল শেষে পরিবারের লোকজনের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে পুলিশ। নিহত ওই রকিবুল নাটোরের লালপুর উপজেলার কদমচিলান ইউনিয়নের আক্কাস আলীর ছেলে। তিনি এলাকাই প্রাইভেট শিক্ষক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল মজিদ জানান, আমি রেললাইনের পাশে দাঁড়িয়ে চটপটি খাচ্ছিলাম। এ সময় এই যুবককে রেললাইনে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলতে দেখি, এরপর হঠাৎ করে ট্রেনটি হুইসেল দিলে তিনি মোবাইলে কথা বলার কারণে শুনতে পাননি। পরে ট্রেনের ধাক্কায় মাথা ও শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান ওই শিক্ষক।
সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন জানান, রকিবুল পারিবারিক কাজে নাটোর থেকে মুলাডুলি এসেছিলেন। সকালে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি মঙ্গলবার মুলাডুলি রেলওয়ে লেভেলক্রসিং অতিক্রম করার সময় লাইনের ওপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল রকিবুল।
বিজ্ঞাপন
সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে থানার (জিআরপি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল জানান, নিহতের পরিবারের স্বজনদের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে।
রাকিব হাসনাত/এমএসআর