শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

বগুড়ার আদমদীঘিতে রুবেল হোসেন (৩২) নামের এক মোটরসাইকেলের পার্টস ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর তার মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

বুধবার (১৭ মার্চ) সকাল ১১টায় আদমদীঘি থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত রুবেল উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের সালগ্রামের সামছুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) রাতে আদমদীঘি-তিলকপুর সড়কের কোমরভোগ কমিউনিটি ক্লিনিকের অদূরে ধানখেতে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রুবেল হোসেন পার্শ্ববর্তী আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর বাজারে বসবাস ও মোটরসাইকেলের পার্টসের ব্যবসা করেন। মঙ্গলবার বিকেলে ব্যবসা-সংক্রান্ত কাজে রুবেল তিলকপুর থেকে আদমদীঘি যান। কাজ শেষে রাতে তিনি মোটরসাইকেলযোগে তিলকপুর বাজারে ফিরছিলেন।

তিনি রাত ১১টার দিকে আদমদীঘি-তিলকপুর সড়কের কোমরভোগ গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন তার খোঁজ শুরু করেন। এদিকে সকালে স্থানীয়রা মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।

পরে আদমদীঘি ও দুপচাঁচিয়া সার্কেলের সিনিয়র পুলিশ সুপার কেএম এরশাদ ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দীন ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।

নিহতের বাবা সামছুল ইসলাম জানায়, রুবেল তিলকপুর বাজারে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস ও ব্যবসা করত। ছেলের কোনো শক্র ছিল না বলে তিনি দাবি করেন।

আদমদীঘি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ব্যবসায়ী রুবেলকে হত্যা করে পাশের ধানখেতে ফেলে তার মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতের চিহৃ রয়েছে।

সাখাওয়াত হোসেন জনি/এমএসআর