চার দফায় ১৩ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে

কক্সাবাজার শরণার্থী শিবির থেকে পাঠানো রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখতে নোয়াখালীর ভাসানচর পরিদর্শনে গেল জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল।

বুধবার (১৭ মার্চ) সকালে জাতিসংঘের ১৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল চট্টগ্রাম থেকে রওনা দিয়ে দুপুরে ভাসানচরে পৌঁছায়। এ দলে রয়েছেন বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার কাজে যুক্ত জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। 

প্রতিনিধিদল ভাসানচনে দুদিন অবস্থান করবে এবং সেখানকার পরিবেশ-পরিস্থিতি ঘুরে দেখবে। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তাদের। এর আগে চলতি মার্চের শুরুতে ভাসানচর পরিদর্শন করেছিল মুসলিম দেশগুলোর জোট ওআইসির একটি প্রতিনিধিদল। 

ভাসানচর প্রকল্পের (আশ্রয়ণ প্রকল্প-৩) উপ-প্রকল্পের পরিচালক কমান্ডার এম আনোয়ারুল কবির বলেন, বুধবার দুপুরে ভাসানচরে পৌঁছে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে দেখার করা কথা রয়েছে তাদের। ভাসানচরের পরিবেশ-পরিস্থিতি ও স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের সুযোগ-সুবিধা কেমন; তা সরেজমিনে দেখবে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল।

ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহে আলম বলেন, জাতিসংঘের ১৮ জনের প্রতিনিধিদল দুপুরে ভাসানচরে পৌঁছে। প্রতিনিধিদলটি ভাসানচরে দুদিন অবস্থান করবে।

বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গা স্থানান্তরের ব্যবস্থা করেছে

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে চাপ কমাতে বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গা স্থানান্তরের ব্যবস্থা করেছে। ইতোমধ্যে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে পাঁচ দফায় ১৩ হাজার ৭৬০ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠানো হয়।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা শুরু হলে আট লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। তার আগে আসে আরও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ।

হাসিব/এএম