দুই ঘণ্টারও বেশি সময় পার হলেও এখনো ছেড়ে যেতে পারেনি বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস ট্রেন। পঞ্চগড়গামী বাংলাবান্ধা ট্রেনটি রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে অবস্থান করছে। আর যাত্রীরা নিজ নিজ আসনে বসে যাত্রার প্রহর গুনছেন। এমন অবস্থয় দুর্ভোগে পড়েছে ট্রেনের হাজারো যাত্রী। শুধু বাংলাবান্ধা নয়, রাজশাহীর বিভিন্ন স্টেশনে মহানন্দা, মধুমতি, সাগরদাড়ী ও তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেন আটকা রয়েছে।

স্টেশন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলা অনুষদের সামনে রেল লাইনের ওপরে আগুন জ্বালিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এতে করে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে রাজশাহী থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরিবেশ স্বাভাবিক হলে ট্রেন চলাচল শুরু করবে। তবে কতক্ষণে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে তা বলা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানানো হয়েছে।

বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী জাবেদ আক্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘এই ট্রেনটি রাত ৯টা ১৫ মিনিটে ছাড়ার কথা। সঠিক সময়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে এলেও ট্রেনটি ছাড়ছে না। আমরা ট্রেন পরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি জানিয়েছেন রাবি শিক্ষার্থীরা রেল লাইনে অগুন দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা রেল লাইন থেকে নেমে না যাওয়া পর্যন্ত ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে না।’

আবদুর রাজ্জাক নামে অপর যাত্রী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘কখন ট্রেন ছাড়বে, তার কোনও ঠিক ঠিকানা নেই। এদিকে এক ঘণ্টার বেশি ট্রেনে বসে থাকা হয়ে গেল। তার পরেও ট্রেন যাত্রা শুরু করেনি। আমরা সন্ধিহানের মধ্যে রয়েছি, আমাদের ট্রেন ছাড়া নিয়ে। আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশনে নামি। সেখান থেকে বাড়ি কাছে। সেই স্টেশনে পৌঁছাতে ভোর ৫টা বাজে। জানি না আগামীকাল কখন পৌঁছাবে ট্রেন। এই বিষয়গুলো মানুষকে খুবই কষ্ট দেয়।’

রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের অন-ডিউটি স্টেশন মাস্টার আবদুল মালেক ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাংলাবান্ধা ছাড়াও অন্য ট্রেনগুলো আটকা পড়েছে বিভিন্ন স্টেশনে। রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে রাত ১০টার আগে মহানন্দা, মধুমতি, সাগরদাড়ী ও তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেন চলে আসার কথা। কিন্তু রেল লাইনের ওপরে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ট্রেনগুলো রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে হরিয়ান, আড়ানী নন্দনগাছী স্টেশনে থেমে আছে।

প্রসঙ্গত, শনিবার (১১ মার্চ) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ৮৬ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

আশিক/এসএম