বিশিষ্ট আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, লেখক ও বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের নোয়াখালীতে প্রথম জানাজা কবিরহাট সরকারি কলেজ মাঠে শুক্রবার (১৯ মার্চ) বেলা দুইটায় অনুষ্ঠিত হবে। শেষ জানাজা তার প্রিয় ক্যাম্পাস বসুরহাট সরকারি মুজিব কলেজ মাঠে শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটায় অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (১৭ মার্চ) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও নোয়াখালীর সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ শাহজাহান।

তিনি বলেন, শুক্রবার সকাল ৯টায় সংসদ প্লাজা, ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ ও বেলা ১১টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জানাজা হবে। এরপর নোয়াখালীতে তার প্রথম জানাজা বেলা দুইটায় কবিরহাট সরকারি কলেজ মাঠে এবং বিকেল সাড়ে চারটায় শেষ জানাজা হবে বসুরহাট সরকারি মুজিব কলেজ মাঠে। এরপর গ্রামের বাড়ি মানিকপুরে মা-বাবার পাশে তাকে দাফন করা হবে।

উল্লেখ্য, বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর মওদুদ আহমদকে ঢাকায় এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি সেখানে চিকিৎসক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের অধীনে চিকিৎসা নেন। সেখানে তার হৃৎপিণ্ডে ব্লক ধরা পড়ায় স্থায়ী পেসমেকার বসানো হয়।

চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি সিসিইউ থেকে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। ২০ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়। এরপর আবার ২১ জানুয়ারি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তিনি দেশ ছাড়েন। সেখানে দীর্ঘদিন আইসোলেশনে থেকে পরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

মওদুদ আহমদ ১৯৪০ সালের ২৪ মে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মাওলানা মমতাজ উদ্দিন আহমদ ও মায়ের নাম বেগম আম্বিয়া খাতুন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে মওদুদ আহমদ ছিলেন চতুর্থ। তিনি স্ত্রী ও এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও দলীয় সহকর্মী রেখে গেছেন।

হাসিব আল আমিন/এনএ