আগে অনেকেই মুন্ডা বলে ডাকতো, ভিন্ন চোখে দেখতো। কেমন যেন লাগতো। কিন্তু এখন আর কেউ আমাদের ভিন্ন চোখে দেখে না। স্কুলে সবাই মিলেমিশে চলি। একসঙ্গে লেখাপড়া করি। খুব ভালো লাগে। 

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বিকেলে এমনটাই বলল কয়রা উপজেলার বেদকাশি কলেজিয়েট স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী শ্রীদীপ্ত মোহন অর্ঘ। এদিন কয়রা সুন্দরবন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে আদিবাসী মুন্ডা শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়। গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (জিডিআরআই) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।  

অর্ঘ আরও বলে, ভালো লাগছে আজ আমাদের শিক্ষা উপকরণ দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে লেখাপড়ায় আমরা উদ্বুদ্ধ হবো।  

অনুষ্ঠানে আসা দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রত্মা মুন্ডা বলে, এখানে এসে খুব ভালো লাগছে। আগে কখনও এভাবে শিক্ষা উপকরণ আমাদের দেওয়া হয়নি। এবার আমরা সকলে পাচ্ছি।

সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী সজল মুন্ডা বলল, আজকের অনুষ্ঠানে সফল মানুষদের বক্তব্য শুনে অনেক অনুপ্রেরণা পেয়েছি।  

অভিভাবক অশোক মুন্ডা বলেন, আমাদের সন্তানদের জন্য শিক্ষা সহায়তা খুবই প্রয়োজন। আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই। কারণ তারা এই প্রয়োজন উপলব্ধি করতে পেরেছেন।  

জিডিআরআই এর প্রোগ্রাম হেড আশিকুজ্জামান বলেন, আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায়ের সন্তানদের পড়ালেখার প্রতি উৎসাহ জোগানো, সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে তারা যাতে সমাজ, দেশ ও জাতিগঠনে অবদান রাখতে পারে সেই বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করার জন্য আমাদের এই উদ্যোগ। সীমিত সহায়তা নিয়ে আমরা মুন্ডা সন্তানদের পাশে দাঁড়িয়েছি। তাদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করছি। আগামীতে জিডিআরআই এর পক্ষ থেকে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বাকী বিল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা আশাশুনি সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের লেকচারার মো. রফিকুল ইসলাম, কয়রা সুন্দরবন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খায়রুল ইসলাম।    

মোহাম্মদ মিলন/এমএএস