পুলিশের জন্য ভারত থেকে ১৫টি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রজনন ঘোড়া আমদানি করা হয়েছে। বুধবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ঘোড়াগুলো প্রবেশ করে। আমদানিকৃত ঘোড়াগুলোর মধ্যে ১১টি রাইডিং ঘোড়া ও ৪টি প্রজনন ঘোড়া রয়েছে।

এ চালানে মোট ২০টি ঘোড়া আমদানি করা হবে। বাকি ৫টি বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করবে। 

বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ঘোড়াগুলো বেনাপোল বন্দর থেকে খালাস কাজ করছে মাধ্যম এন্টারপ্রাইজ নামের একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট। এর রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো কলকাতার বিধাতা সাপ্লাইয়ার। 

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের মাধ্যম এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি এবং সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, আমদানিকৃত ১৫টি ঘোড়া আমাদের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে খালাস করা হচ্ছে। ঘোড়াগুলো আমদানি করেছেন বাংলাদেশ পুলিশ। ঘোড়াগুলো খালাস করার পর বেনাপোল বন্দর থেকে ঢাকার বসিলায় অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে ২৮ দিন রাখা হবে। তারপর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হবে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মনিরুল ইসলাম জানান, ১৫টি ঘোড়া এক লাখ ৭০ হাজার ৯৭০ মার্কিন ডলারে আমদানি করা হয়েছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় এক কোটি ৮৪ লাখ ৯০ হাজার ১৭ টাকা। 

তিনি আরও জানান, পুলিশের জন্য আমদানি করা ঘোড়াগুলো দ্রুত খালাসের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ ঘোড়াগুলো রক্ষণাবেক্ষণের তদারকি করছেন।

বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ওসি কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আমদানি করা ১৫টি ঘোড়া খালাসের জন্য কাস্টমস ও বন্দরের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে।

এ্যান্টনি দাস অপু/আরকে