জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, আমাদের জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা কোনো ফুল বিছানো পথে হেঁটে প্রধানমন্ত্রী হননি। বড় কষ্ট, দুঃখ ও কঠিন আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর আসনে অধিষ্ঠ হয়েছেন। আজ বিশ্ব দরবারে যে কয়জন রাষ্ট্রনায়কের নাম সম্মানের সঙ্গে আলোচনা হয় এর মধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যতম।

বুধবার (১৫ মার্চ) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ভুইয়ারবাগ বিদ্যানিকেতন স্কুলে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, শত প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও শিক্ষাজীবন যেন স্বাভাবিক থাকে তার জন্য দিনরাত্রি পরিশ্রম করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্য দিয়েও দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠানেই নয় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও সরকারি সহায়তা দিয়েছেন। এতসব প্রতিকূলতার মধ্যেও শিক্ষাব্যবস্থায় সরকারের সহযোগিতার কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি আর আগামীতেও ঘটবে না বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা, শিক্ষা ও বাসস্থানসহ জনগণকে সেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীত্ব কোনো উপভোগ্য জিনিস নয়, বরং জনগণের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাওয়াই একজন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব।

বিদ্যানিকেতন স্কুলের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি কাশেম হুমায়ুনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।