বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বাংলাদেশ বহু রাজনীতিক দেখেছি, তারা রাজনীতিতে প্রবেশ করে রাজনীতির পেছনের দরজা দিয়ে। আজকে সরকারের যদি সৎ সাহস থাকে তারা এতো ভালো কাজ করেছে, তারা পদ্মাসেতু করেছে, তারা নাকি মেট্রোরেল করেছে, তারা আরও কতকিছু করেছে, উন্নয়নের জোয়ারে বাংলাদেশকে বঙ্গোপসাগরে ভাসিয়ে দিয়েছে। তাহলে কেন তারা জনগণের ভোটকে ভয় পায়? এই প্রশ্নের উত্তর আজকে সরকারকে দিতে হবে। 

আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আসুন, জনগণের মুখোমুখি হন। জনগণ যদি আপনাদের ভোট দেয় একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন পদ্ধতির মাধ্যমে, একটি নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে, তাহলে আমি হব সর্বপ্রথম ব্যক্তি যে আওয়ামী লীগকে সেলুট দেবে। কিন্তু প্রশ্ন সেখানে নয়, প্রশ্ন হচ্ছে আওয়ামী লীগ জানে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করলে আজকের বাংলাদেশে তারা শতকরা ১০ শতাংশ ভোটও পাবে না। সেই ভয়ে তারা আজকে দিনের ভোট রাতে করতে চায়।

শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে খুলনা নগরীর কে ডি ঘোষ রোডে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আব্দুল মঈন খান এসব কথা বলেন। ১০ দফা দাবিতে খুলনা মহানগর বিএনপি এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির দাম বাড়ানো হয়েছে। দেশের সব কিছুর মূল্য বেড়েছে, শুধু বাড়েনি মানুষের মূল্য। বাংলাদেশের মানুষ দিন দিন মূল্যবৃদ্ধির কষাঘাতে রক্তাক্ত।

তিনি আরও বলেন, নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। জিনিসপত্রের দাম কমাতে না পারলে সরকারের ক্ষমতায় থাকার দরকার নেই।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনা।

অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মুজিবর রহমান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি, বিএনপি নেতা আবু হোসেন বাবু, তরিকুল ইসলাম, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, নাজমুল হুদা সাগর, জিয়াউর রহমান জিয়া, শেখ তৈয়েবুর রহমান, একরামুল হক হেলাল, মুজিবর রহমান, ইবাদুল হক রুবায়েদ, আজিজা খানম এলিজা, তাজিম বিশ্বাস প্রমুখ।

সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম তুহিন, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সাদী ও চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন। 

মোহাম্মদ মিলন/আরএআর