কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমি কাদের সিদ্দিকী গরুর রাখাল হতাম। রাজনীতিতে এসে বঙ্গবন্ধুকে পেয়েছিলাম, তাকে ভালোবেসে দেশের মাটি গাছপালা তরুলতাকে ভালোবাসতে শিখেছি। দেশের মাটি আমার কাছে মায়ের মতো।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কালমেঘা ইলিমজান উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বহুরিয়া ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, আমি ইচ্ছা করলে বঙ্গবন্ধুর সময় ১৯৭২ সালে মন্ত্রী হতে পারতাম, আমি ইচ্ছা করলে এরশাদের সময়ে মন্ত্রী হতে পারতাম, আমি ইচ্ছা করলে খালেদা জিয়ার সময়ও মন্ত্রী হতে পারতাম। এখনও আমার বোন‌কে (শেখ হাসিনাকে) বললে তিনি আমাকে মন্ত্রী বানাবেন। কারণ আমি ভাঙা হাটে কখনো যাই না, ভাঙা হাটে সদাই করি না।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ না হলে আমি কোথায় যেতাম, কী করতাম জানি না। অনেক মানুষ মুক্তিযুদ্ধের জন্য আমাকে অনেক বড় ভাবেন, অনেক প্রশংসা করেন। আমি বলতে পারি, মুক্তিযুদ্ধে আমার কোনো ভূমিকা নাই, কোনো অবদান নাই। আমি পাকিস্তানিদের দেখে ভয় পাইনি, পালিয়ে যাইনি এটাই আমার গুণ।

বন কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, আজ আমার কাছে একটি অভিযোগ এসেছে। বন বিভাগের কর্মকর্তারা নাকি একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর গায়ে হাত তুলেছেন। এটা যদি আমি সামান্যতম প্রমাণ করতে পারি, তবে আপনাদের টাঙ্গাইলের সীমানা পার হতে দেওয়া হবে।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, যেখানে যার ঘর আছে, সেই ঘর ভেঙে যদি সে তাজমহলও তৈরি করে, তবে আপনারা সেখানে বাধা দিতে পারবেন না। কী আইন হয়েছে তা আমি জানি। আপনারা সখীপুরের মানুষকে চেনেন না, পাকিস্তানিরাও বড় বড় কথা বলেছিল, ফলশ্রুতিতে তাদের হাত-পা গুটিয়ে বিদায় নিতে হয়েছিল।

বহুরিয়া ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য দেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা, জেলা সাধারণ সম্পাদক এটিএম সালেক হিটলু, সখীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সানোয়ার হোসেন সজীব, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য আশিক জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

অভিজিৎ ঘোষ/আরএআর