খুলনায় আ.লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৩
খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক শেখ আনসার উদ্দীনকে হত্যার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। শনিবার (২৫ মার্চ) দিবাগত রাতে নিহতের ছেলে শেখ তানভীর বাদী হয়ে বারাকপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান গাজী সগীর হোসেন পাভেলসহ ২৩ জনের নাম ও অজ্ঞাতনামা ৭ থেকে ৮ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
এদিকে আনসার উদ্দীনকে হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- মাহবুব, ফরহাদ ও এবাদুল।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার (২৪ মার্চ) আনসার উদ্দিন খুলনার শিরোমণি পূর্বপাড়ার বায়তুল আকসা জামে মসজিদে জুমার নামাজ পড়ে তার ভাড়া বাসায় ফিরছিলেন। তিনি মসজিদের পাশের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় লিন্ডা ক্লিনিকের পাশে একটি মোটরসাইকেলে তিনজন দুর্বৃত্ত এসে আনসারকে গুলি করে পালিয়ে যায়। তাদের ছোড়া গুলি আনসারের বুকের বাম পাশে বগলের নিচে লাগে। জীবন বাঁচাতে তিনি দৌড় দেন। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় গুলিবিদ্ধ আনসার উদ্দিনকে পাশের পরিত্যক্ত একটি টিনের ঘরের মধ্যে থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে আনসার উদ্দিনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। ওই দিনই দিঘলিয়ার লখোহাটি গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
নিহত আনসার উদ্দিন বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেন হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। তার বাড়ি দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়নের লাখোহাটি গ্রামে। বিগত ইউপি নির্বাচনে তিনি ওই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হন। ইউপি নির্বাচন, স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
খানজাহান আলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিহত আনসার উদ্দিনের ছেলে বাদী হয়ে ২৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মোহাম্মদ মিলন/আরএআর