রংপুরে স্নেহা মাদকাসক্তি ও মানসিক রোগ নিরাময় কেন্দ্রে মেহেদী হাসান (২৫) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে ওই কেন্দ্রের একটি কক্ষ থেকে মেহেদীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত মেহেদী হাসান রংপুর মহানগরীর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মদাস মুসলিমপাড়া এলাকার মশিউর রহমানের ছেলে। সম্প্রতি সুচিকিৎসার জন্য তাকে স্নেহা মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) তার পরিবারের লোকজন মেহেদীর সঙ্গে দেখা করে। আজ বুধবার সকালে পরিবারকে সংবাদ দেওয়া হয় মেহেদী মারা গেছে। পরে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারে মেহেদী আত্মহত্যা করেছে।

তবে স্বজনদের দাবি, মেহেদীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।

এদিকে পিটিয়ে হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন স্নেহা মাদকাসক্তি ও মানসিক রোগ নিরাময় কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা মনোয়ার কাদির মাসুম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেহেদী হাসানের ভাই এসে দেখা করে গেছেন। মেহেদী হাসান রোজা রাখতে রাতে সেহরি খেয়ে ফজরের নামাজ আদায় করে ঘুমিয়ে পড়ে। আমাদের স্টাফরাও ঘুমায়। এরই মধ্যে সকালে জানতে পারি এরকম একটি দুর্ঘটনার (আত্মহত্যা) কথা। এই রোগী এর আগেও মাদকাসক্ত হওয়ায় আমাদের এখানে চিকিৎসা নিয়েছেন।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিঠু আহমেদ বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। পরিবার থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমজেইউ