শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা একই দিনে ৫০০ জায়গায় বোমা দেখতে চাই না। বরং শেখ হাসিনা একই দিনে ১০০টা সেতু, সড়ক উদ্বোধন করছেন। আমরা তাই দেখতে চাই। আমরা চাই না সরকারের উচ্চপর্যয়ে যারা থাকেন তাদের পরিবার এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করবে। এটি আমরা আর কোনো দিন দেখতে চাই না।  সেজন্যে বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা দরকার । আজকে আমরা যেই অবস্থায় আছি। আগামী দিনে ইনশাআল্লাহ আমরা আরও ভালো অবস্থায় থাকবো। যদি এই সরকারের ধারাবাহিকতা থাকে। 

শুক্রবার (৩১ মার্চ) দুপরে চাঁদপুর সদর উপজেলার ত্রিপুরা শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই যে বারবার বঙ্গবন্ধু কন্যাকে ভোট দিয়ে মানুষ নির্বাচিত করছে, তার কারণ মানুষ সুখে আছে, শান্তিতে আছে। আগের তুলনায় অনেক ভালো আছে। আগামী দিনে আরও ভালো অবস্থায় থাকবে। এখন আপাতত কিছু দিন যুদ্ধ অবস্থার জন্য মানুষের একটু কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে উন্নয়ন হয়েছে। 

ডা. দীপু মনি বলেন, ইউরোপে যে যুদ্ধ চলছে, সেই কারণে সারাবিশ্বে এখন দ্রব্যমূল্য অনেক ঊর্ধ্বগতি। সেই কারণে কোথাও কোথাও খাবারই পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমত, কৃষকদের কৃতিত্ব, সরকারের সঠিক নীতি, সঠিক সহায়তা এবং বঙ্গবন্ধুকন্যার সঠিক নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশে আজকে কোনো খাদ্যের অভাব নেই। আজকে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে এবং মানুষ খাদ্য পাচ্ছে। যখন মানুষের পেটে খাবার থাকে, তখন যদি অন্য কোনো সমস্যায় থাকে, সেই সমস্যাকে কাটিয়ে ওঠার জন্য মানুষ চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু খাদ্য ঘাটতির কারণে বিশ্বের এখন বহু উন্নত দেশ হিমশিম খাচ্ছে। তারা খাদ্য উৎপাদন  ও রপ্তানি করতে পারছে না। কাজেই এই কারণে  বাংলাদেশের নিশ্চয় যারা স্বল্প আয়ের মানুষ তাদের কষ্ট হচ্ছে। সেই কষ্টটা আমরা বিশ্বাস করি খুব সাময়িক এবং সেই কষ্টটা দূর করার জন্য সরকার নানাভাবে কাজ করে যাচ্ছে। 

তিনি বলেন, আজ থেকে ১৫ বছর আগে আমরা হয়তো একই রকম চেহারা দেখতাম না। তখন আমরা দেখতাম অনেক বেশি রোগা মানুষ, তাদের কাপড়-চোপড়ের অনেক কষ্ট ছিল। এখন মানুষের দিকে তাকালেই বোঝা যায় আগের তুলনায় অনেক বেশি তাদের খাওয়া, পরা, থাকা অনেক বেশি উন্নত হয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনা একটানা ১৪ বছরের বেশি সময় দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আছেন বলেই। এই ধারাবাহিকতা আমাদের রক্ষা করতে হবে। আমরা আর পেছনে ফিরে যেতে চাই না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম দেওয়ান নাজিম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা সুলতানা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. জেআর ওয়াদুদ টিপু, সাংগনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান ভূইয়া, চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী এরশাদ মিয়াজী প্রমুখ।

আনোয়ারুল হক/আরএআর