রংপুরে ২০০ বছরের পুরোনো একটি টেলিস্কোপ বিক্রির সময় ছয়জনকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করা হলেও মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি তিনজনকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

গতকাল শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রংপুর মহানগরীর গোল্ডেন টাওয়ার আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে টেলিস্কোপটিসহ ওই ছয়জনকে আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- ঢাকার দেওয়ান খোরশেদের ছেলে দিওয়ান রবিউল সালাম (৪৯), নুরুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান (৪৮), পাবনার জালাল উদ্দিনের ছেলে শামসুল আলম (৫৯), আব্দুল কাদের মিয়ার ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৫৬), পঞ্চগড়ের আব্দুর করিমের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৪৮) ও রুস্তম আলীর ছেলে শাহ আলম (৪৫)।

শনিবার (০১ এপ্রিল) এ ঘটনায় মামলা হলে আটক ছয়জনের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। অন্য তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

মামলার বাদী ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা মিজানুর রহমান। আসামিরা হলেন- পাবনার আবদুর রাজ্জাক (৫৬) এবং পঞ্চগড়ের আবদুল করিমের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৪৮) ও রুস্তম আলীর ছেলে শাহ আলম (৪৫)।

উদ্ধার হওয়া টেলিস্কোপটির গায়ে খোদাই করে লেখা আছে ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’। এর নিচে লেখা—১৮১৮, এর নিচে বন্ধনীর ভেতরে লেখা আছে- ট্র্যাকার টেলিস্কোপ।

পুলিশ জানায়, কয়েকজন প্রতারক পুরোনো টেলিস্কোপটি বিক্রির জন্য গোল্ডেন টাওয়ার হোটেলে অবস্থান করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে টেলিস্কোপটিসহ ছয়জনকে আটক করে।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (গোয়েন্দা বিভাগ) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ধরনের টেলিস্কোপ বিভিন্ন বিদেশি জাহাজে শোপিস হিসেবে দেখা যায়। সম্ভবত সেটি চুরি করে এনে মূল্যবান ধাতব বস্তু হিসেবে বিক্রির প্রক্রিয়া চলছিল। প্রথমে আটক ছয়জনের মধ্যে তিনজন এই প্রতারণার ফাঁদে পড়েছিলেন। পরে ওই তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগী তিনজনের মধ্যে মিজানুর রহমান বাদী হয়ে প্রতারণার অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামিকে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর