মাদারীপুরের কালকিনিতে শনিবার ভোরের বাতাসে উড়ে গেছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬টি ঘরের টিন। ফাটল ধরেছে কিছু ঘরের দেয়ালে। এ ঘটনায় ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। তাদের দাবি, দায়সারাভাবে কাজ করায় এবং নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করার কারণেই সামান্য বাতাসেই এ অবস্থা হয়েছে। 

স্থানীয়রা জানায়, ভোর রাতে বৃষ্টির সঙ্গে সামান্য বাতাস হয়। বাতাসে কোনোস্থানে ক্ষয়ক্ষতি না হলেও কালকিনি পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের চরঠেঙ্গামারা এলাকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের কয়েকটি দেয়ালে ফাটল ধরেছে ও ঘরের টিন পড়ে গেছে।

প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, এসব ঘরের নির্মাণ কাজ গত মাসেই শেষ হয়েছে। নির্মাণের এক মাসের মাথায় ঘরের চালা উড়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন নাগরিক সমাজ। 

স্থানীয় বাসিন্দা মো. সামচু বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঘর তৈরির কারণেই চালা উড়ে গেছে। বেশি কিছু বললে সমস্যায় পড়বেন বলেও জানান তিনি। 

স্থানীয় বাসিন্দা হাসমত আলী জানান, বাতাসে এলাকায় তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। কিন্তু আশ্রয় প্রকল্পের নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার কারণে টিনের চালা এবং দেয়ালে ফাটল ধরেছে।  

মাদারীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মাসুদ পারভেজ বলেন, সরকার গৃহহীনদের বসবাসের জন্য ঘর নির্মাণ করেছে। এটা ভালো কাজ। কিন্তু কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার কারণে নির্মাণের এক মাসে মধ্যেই ঘরের চালা উড়ে গেছে। দেয়ালেও ফাটল ধরেছে বলে শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে অনিয়মের সঙ্গে জতিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই।

এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, ঝড়ে চালা উড়ে যেতেই পারে। এখনও ঘরে কেউ উঠেনি। চালা ঠিক করে দেওয়া হবে। কাজে গাফলতি আছে কীনা এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ঝড়ে ক্ষতি হতেই পারে। কাজের অনিয়মের কথা আমিতো এখনও শুনিনি।
 
এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিংকী সাহার সরকারি নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। 
 
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ঝড়ের কারণে ৪টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলো সকালেই মেরামত করে দেওয়া হয়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করেছে কীনা প্রশ্নে তিনি বলেন, খোলা স্থানের ঘর হওয়ার কারণে এমন হয়েছে।

রাকিব হাসান/এমএএস