অতিরিক্ত ভার বহন করতে না পেরে ধসে পড়ে বেইলি ব্রিজ

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় জুঙ্গুরদি বাসস্ট্যান্ড ও নগরকান্দা সদরের মধ্যবর্তী কুমার নদের উপরে স্থাপিত বেইলি ব্রিজটি অতিরিক্ত ভার বহন করতে না পারায় ধসে পড়েছে। শনিবার (২০ মার্চ) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আশির দশকে নির্মিত ওই বেইলি ব্রিজটি ধসে যাওয়ায় ফরিদপুর-নগরকান্দা-মুকসুদপুর সড়কে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। জরুরি প্রয়োজনে ছোট যানে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প পথ ব্যবহার করছেন ভুক্তভোগীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ধাওয়াপাড়া থেকে বালুবাহী ১০ চাকার ওই ট্রাকটি বেইলি ব্রিজে উঠে। এরপর অপর প্রান্তে যাওয়ার আগেই ট্রাকসহ বেইলি ব্রিজটি ধসে পড়ে। 

নগরকান্দা প্রেসক্লাবের সভাপতি বোরহানউদ্দিন আনিস জানান, ৫ টন ওজন বহনের সক্ষমতা নিয়ে ৮০’র দশকের শেষের দিকে নির্মিত বেইলি ব্রিজটি অনেক আগেই জরাজীর্ণ ও চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছিল। এলাকাবাসী সেখানে নতুন একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিল।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ফরিদপুরের সড়ক ও যোগাযোগ বিভাগ বেইলি ব্রিজের কিছু স্লিপার মেরামতের কাজ করে। ৫ টন ওজনের স্থলে ৭ টন বহনের অনুমতি-সম্বলিত একটি নোটিশ টাঙিয়ে দেওয়া ছিল।

নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেতি প্রু বলেন, খবর পেয়ে বিষয়টি ফরিদপুরের সড়ক বিভাগকে জানানো হয়েছে। একটি বিকল্প পথ গড়ে তোলার জন্য তাদের অনুরোধ জানিয়েছি।

বর্তমানে স্থানীয়রা বিভিন্ন প্রয়োজনে নগরকান্দা যাতায়াতে নৌকায় নদী পাড়ি দিচ্ছেন। তবে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যানবাহনগুলো কয়েক কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প পথ ব্যবহার করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পুনরায় যোগাযোগের ব্যবস্থা গড়ে তোলা না হলে জনগণ ভোগান্তিতে পড়বে।

ফরিদপুর সড়ক বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল হোসেন বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত ১০ চাকার বালুবাহী ট্রাকটি প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ টন ওজনের ছিল। অতিরিক্ত ভার বহন করতে না পেরে সেটি ধসে পড়েছে। আমরা বিকল্প পথে সড়ক যোগাযোগ অব্যাহত রাখার পন্থা বের করার চেষ্টা করছি।

নগরকান্দা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকটি ১০ চাকার। ধাওয়াপাড়া থেকে বালু নিয়ে আসা ট্রাকটি নির্ধারিত ওজনেরও কয়েকগুণ বেশি ছিল। আমরা ট্রাকের চালককে আটক করতে পারিনি। এছাড়া মালিকের সন্ধানও পাইনি।

বি কে সিকদার সজল/এমএসআর