নতুন জামা পেয়ে পথশিশুদের মুখে ঈদের হাসি
'ঈদির নতুন জামা পাইছি, ঈদির দিন পরে ঘুরে বেড়াব।’ হাসতে হাসতে এভাবেই নিজের আনন্দের অনুভূতি প্রকাশ করে নতুন পোশাকের প্যাকেট উল্টেপাল্টে দেখছিলো আল-আমিন নামে ছয় বছরের এক পথশিশু। শুধু আল-আমিন নয়, তার মতো দেড়শো পথশিশুর শিশুর মুখে একই কথা। ঈদের নতুন পোশাক পেয়ে খুশি তারা।
পথশিশুদের মুখে ঈদের হাসি ফোটাতে এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছে সামাজিক সচেতন সংস্থা (সাসস) নামে একটি সংগঠন। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে যশোর শহরতলীর চাচড়া এলাকায় দেড়শো পথশিশুর মধ্যে ঈদের উপহার হিসেবে নতুন পোশাক ও ইফতার বিতরণ করেন সংগঠনের সদস্যরা। নতুন পোশাক পেয়ে খুশিতে মাঠ প্রাঙ্গণে ছোটাছুটি করতে থাকে কোমলমতি শিশুরা।
বিজ্ঞাপন
এক শিশুর মা খাদিজা আক্তার বলেন, আমি ইটভাটায় কাজ করি। সামার্থ্য হয় না বাচ্চাদের নতুন পোশাক কিনে দেওয়ার। যা আয় করি সংসারে লেগে যায়। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ঈদের পোশাক পেয়ে আমার বাচ্চাটার মুখে হাসি দেখে আমিও আনন্দিত।
ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাসসের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মফিজুল ইসলাম। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাসসের আমন্ত্রণে আজ আমি এই পথশিশুদের মাঝে সামান্য ঈদের পোশাক বিতরণে অংশ নিতে পেরে আনন্দিত। সাসসের মূল লক্ষ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা। হয়তো তারা দেশব্যাপী কর্মসূচি পালন করতে পারবে না, তবে তাদের মূল লক্ষ্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা। যাতে করে বিত্তবানরা সমাজের অবহেলিত, সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের পাশে দাঁড়ান এবং তাদের সঙ্গে যেন উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করেন।
বিজ্ঞাপন
সাসসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাবিবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সামাজিক সচেতন সংস্থা (সাসস) সমাজের সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করার পাশাপাশি সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ায়। এর ধারাবাহিকতায় আজ দেড়শ পথশিশুর মাঝে ঈদের উপহার হিসেবে নতুন পোশাক ও ইফতার বিতরণ করা হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা সমাজের বিত্তবানরা এবং আরও যেসকল সামাজিক সংগঠন আছে তারাও পথশিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে এগিয়ে আসুক। যেন কোনো পথশিশু উৎসবের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয়।
এ্যান্টনি দাস অপু/আরএআর