টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ

শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন যুগ্ম-সম্পাদক এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট হাবীবুর রহমান ও তার ছোট ভাই মনির হোসেন মুন্সি হত্যা মামলার রায়ের প্রতিবাদে শরীয়তপুর পৌরসভায় অর্ধদিবস হরতাল পালন করছেন স্থানীয়রা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা।

সোমাবার (২২ মার্চ) ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হরতাল পালিত হবে। পৌরসভার খাবার ও ওষুধের দোকান ছাড়া সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে ও চেয়ার-টেবিল রেখে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পথচারীদের পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শরীয়তপুর-মাদারীপুর মহাসড়কের মনোহর বাজারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে রেখেছেন হরতালকারীরা। সড়কের দুই পাশে গাড়ির দীর্ঘ লাইন। পায়ে হেঁটে গন্তব্য পৌঁচ্ছাছেন অনেকেই। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল চলছে। 

হরতালের বিষয়ে হাবীবুর রহমানের ছেলে জজকোটের এপিপি ও শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র পারভেজ রহমান বলেন, আমার বাবা ও চাচাকে দিনের আলোতে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। প্রকৃত খুনিদের আড়াল করে ২০ বছর পরে এই হত্যা মামলার রায় প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এই রায় মানি না। আমার বাবা ও চাচাকে যারা ভালোবাসতো তারাই আজ এই হরতাল ডেকেছে।

শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু অনল কুমার দে বলেন, বিএনপির সন্ত্রাস বাহিনী আমাদের সহযোদ্ধা হাবীবুর রহমান ও তার ভাই মনির হোসেনকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। দীর্ঘ ২০ বছর পর সেই হত্যার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নয়।

পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, স্বাভাবিক রয়েছে জনজীবন। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি কোথাও নেই।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এসপি