নিহত সাকিব রহমান

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে রাতের আঁধারে সাকিব রহমান (২৫) নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন তালুকদারের বিরুদ্ধে । হত্যার পর ভোরে মরদেহ হাসপাতালে ফেলে চলে যান ঘাতকরা। 

নিহত সাকিব রহমান তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ঘাগটিয়া গ্রামের মুজিবুর মিয়া ওরফে বাটি মুজিবুরের ছেলে।

ঘটনাটি সোমবার (২৪ এপ্রিল) রাতে ঘাগটিয়া গ্রামে ঘটলেও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাকিবের মরদেহ পাওয়ার পর মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিষয়টি জানাজানি হয়। 

নিহতের বাবা মুজিবুর মিয়া বলেন, সোমবার রাত ১১টার দিকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘাগটিয়া গ্রামের রাফি, রাজ, নুরুজ আলী ও তার ছেলে কাহার মিয়া, মহিনুর, মোশাহিদসহ অন্তত ১০-১২জন মিলে আমার ছেলেকে উল্লাসের মোড় থেকে জোরপূর্বক ধরে মোশাররফের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে মোশাররফের নির্দেশে তারা সবাই মিলে আমার ছেলেকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে ও নক উপড়ে হত্যা করে। খবর পেয়ে আমি রাত ১টার দিকে মোশাররফের বাড়িতে গেলে তারা আমার ওপরও আক্রমণ করে। পরে আত্মরক্ষার্থে আমি সেখান থেকে পালিয়ে আসি।

মঙ্গলবার সকালে পুলিশ আমাকে জানায়- আমার ছেলেকে তাহিরপুর হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। সেখানে গিয়ে আমার ছেলে সাকিবকে না পেয়ে পরে জানলাম সুনামগঞ্জ হাসপাতালে আছে। সেখানে গিয়েও ছেলের কোনো খোঁজ পেলাম না। পরে শুনলাম সিলেটের ওসমানী হাসপাতালে রয়েছে। সেখানে গিয়ে ছেলেকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই। ডাক্তার জানিয়েছেন কারা যেন হাসপাতালে মরদেহ রেখে চলে গেছেন। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।

তাহিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, হত্যার ঘটনা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছি। 

কাউকে আটক করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ওসি বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে আগে অভিযোগ করতে হবে। পরে আসামি আটক করা হবে। 

এ বিষয়ে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবু সাঈদ বলেন, পুলিশ কাকে আটক করবে, কারা ঘটনা ঘটিয়েছে সে বিষয়ে মৌখিকভাবে হলেও পুলিশকে জানাতে হয়। তবে যেহেতু হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে। 

সোহানুর রহমান সোহান/আরএআর