নিহত মো. রাব্বি মিয়া

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে মো. রাব্বি মিয়া (১৫) নামের এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-  কুলিয়ারচর উপজেলার বড়খারচর পশ্চিমপাড়া এলাকার তাহের মিয়ার ছেলে মো. আরজু মিয়া (৪৮) ও ছরো পূর্ব গাইলকাটা এলাকার ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে সরোয়ার আলম ছরো (৪৩)।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার কুলিয়ারচর বাজার থেকে মো. আরজু মিয়াকে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার ওরাইল এলাকা থেকে সরোয়ার আলম ছরোকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।

বুধবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কিশোরগঞ্জ পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মো. শাহাদাত হোসেন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর দত্তের আদালতে আসামি সরোয়ার আলম ছরোর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত মো. আরজু মিয়া ও সরোয়ার আলম ছরো 

আদালতে দেওয়া আসামির জবানবন্দির বরাতে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মো. শাহাদাত হোসেন প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, চলতি বছরের ৩ মার্চ সন্ধ্যায় নিহত মো. রাব্বি মিয়া তার বাজিতপুরের নিজ বাড়ি থেকে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে কুলিয়ারচর বাজারে আসে। ওইদিন মো. সরোয়ার আলম ছরোর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় কুলিয়ারচর বাজারে বেড়াতে আসা মো. রাব্বিকে কুলিয়ারচর বাজার এলাকার জামিয়া আরাবিয়া নুরুল উলুম মাদরাসার সামনে থেকে মো. সরোয়ার আলম ছরো, মো. আরজু মিয়া, এমরান ও আকাশসহ কয়েকজন ধরে উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে নিয়ে গিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাঁশের লাঠি ও কাঠের টুকরা দিয়ে বেধড়ক মারধর করে।

তিনি আরও বলেন, নির্যাতনে মো. রাব্বি অজ্ঞান হয়ে গেলে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায় এবং সেখানে রাব্বিকে রেখে আসামিরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত ডাক্তার মো. রাব্বিকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে এ ঘটনায় মো. রাব্বির বাবা মো. মির্জা আলী বাদী হয়ে কুলিয়ারচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এমজেইউ