বরগুনার তালতলীতে বাল্যবিয়ের অপরাধে ঘটক, কনের বাবাসহ তিনজনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিয়ে পরানোর দায়ে এক মাদ্রাসা শিক্ষককেও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে তালতলীর তাঁতীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন তালতলীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার তুমপা। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কনের বাবা সরোয়ার খান, ঘটক সেন্টু মৃধা ও ছেলের ভাই ছাব্বির হোসেন। 

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, তালতলীর তাঁতীপাড়া এলাকায় অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর সঙ্গে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নিজাম উদ্দিনের ছেলে মো. রাব্বির (২২) বিয়ের আয়োজন চলছিল ঘটক সেন্টু মৃধার বাড়িতে। খবর পেয়ে ঘটকের বাড়িতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে বরসহ অন্যরা পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ কনের বাবা, বরের ভাই ও ঘটককে আটক করেন। 

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার তুমপা ঘটক সেন্টুকে এক মাস, কনের বাবা সরোয়ার খান ও ছেলের ভাই ছাব্বিরকে সাত দিন করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন। একইসঙ্গে বিয়ে পরানোর দায়ে মাদ্রাসার শিক্ষক আবুল কাশেমকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, গোপন সংবাদ পাই বাল্যবিয়ের আয়োজন হচ্ছে। পরে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

খান নাঈম/এনএফ