পাবনার পৃথক দুইটি উপজেলায় জমিতে ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে কলেজছাত্রসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে সুজানগরের আহম্মেদপুরের চরগোবিন্দপুর, একই উপজেলার টাকিগাড়া গ্রাম ও আটঘরিয়ার একদন্ত ইউনিয়নের বাড়ইপাড়া এলাকায় পৃথক এসব ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, একদন্ত ইউনিয়নের বাড়ইপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদ প্রামানিকের ছেলে এনামুল হক ( ২২)। তিনি পাবনা সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। অপরজন মনিরুজ্জামান আহম্মেদপুরের চরগোবিন্দপুর গ্রামের আকবর প্রমানিকের ছেলে। এছাড়া, সুজানগর উপজেলার রানীনগর ইউনিয়নের টাকিগাড়া গ্রামে মৃত ছায়াত শেখের ছেলে কৃষক রফিকুল ইসলাম (৪২)। তারা দুইজনই পেশায় কৃষক।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত কলেজছাত্র এনামুল বিকেলে বাড়ির পাশের মাঠের জমিতে ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন। নিহত অপরজন  সুজানগরের মনিরুজ্জামান। তিনি প্রতিদিনের মতো আজও বাড়ির পাশের গাজনার বিলে ঘাস কাটতে যায়। এ সময় হঠাৎ বজ্রসহ বৃষ্টিপাত শুরু হলে বাড়ির দিকে রওনা দেন তিনি। পরবর্তীতে পথে বজ্রপাতে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সুজানগর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এছাড়া, একই উপজেলার রানীনগর ইউনিয়নের টাকিগাড়া গ্রামে বজ্রপাতে নিহত হন স্থানীয় কৃষক রফিকুল ইসলাম।

আটঘরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মাঠে ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে। মরদেহ পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আমিনপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, বিকেলে গাজনার বিলে ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে তিনি মারা যান। মরদেহ পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুজানগর উপজেলা প্রশাসন নিহতের পরিবারকে সহযোগিতা করবে।

সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম বলেন, বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যুর পরই ঘটনাস্থলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লোক পাঠিয়েছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। নিহতের পরিবারকে খাদ্য সামগ্রীসহ আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

এ বিষয়ে পাবনার জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন বলেন, বিষয়টি আমরা জানেছি। দুইজনের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে।

রাকিব হাসনাত/এবিএস