কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাইতে মঞ্চে উঠে মাতলামির বিষয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন মাঈনুল আহসান নোবেল। সেদিন মঞ্চে উঠার আগে অল্প মদ পান করেছিলেন বলে স্থানীয় এক পত্রিকাকে দেওয়া অডিও সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন এই কণ্ঠশিল্পী।

সাক্ষাৎকারে নোবেল বলেন, আমি দুই-তিনটা ক্লাবের সদস্য, আমার মদপানের লাইসেন্স রয়েছে। সেদিন অনেকটা পথ জার্নি করে গিয়েছিলাম। আমি ডিহাইড্রেড হয়ে গিয়েছিলাম। এমন না যে সেদিন আমি মাতাল ছিলাম, কোনোভাবে একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। আমি এটা রিকভার করে উঠতি পারিনি, ফলে আমার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বা কথায় সেখানকার হাজার হাজার শ্রোতা কষ্ট পেয়েছেন।

মদপানের বিষয়টি নিয়ে কথা তুললে তিনি আরও বলেন, আয়োজকদের পক্ষ থেকেই মদ সরবরাহ করা হয়েছিল। স্টেজে ওঠার আগে হালকা একটু রিলাক্সেশনের জন্য, হালকা একটু ফিলিংসের ভেতরে যাওয়ার জন্য একটু মদ পান করার দরকার পড়ে। অতিরিক্ত মদ পান করার ধারে কাছে যাইনি। স্টেজে ওঠার আগে সামান্য মদ পান করেছিলাম।

নোবেল বলেন, এ ব্যাপারে আমি অনুতপ্ত এবং দুঃখিত। সবার কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাচ্ছি। এরকম ঘটনা আর ঘটবে না বলেও তিনি প্রতিশ্রুতি দেন।

তবে মদ সরবরাহের বিষয়টি অস্বীকার করে আয়োজক কমিটির সদস্যসচিব ও ফুলবাড়ী জছিমিয়া মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবেদ আলী বলেন, আয়োজকদের পক্ষ থেকে নোবেলকে মদ সরবরাহের কোনো প্রশ্নই আসে না। আর এটা কোনোভাবেই সম্ভব না। কোথায় এবং কীভাবে নোবেল মদ পেয়েছেন এবং পান করেছেন তা আমাদের জানা নেই। তিনি সেদিন মদ পান করেই স্টেজে উঠেছেন। আর এরকম ঘটনার জন্য আমরাও অত্যন্ত লজ্জিত।

উল্লেখ্য, কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কণ্ঠশিল্পী নোবেল আমন্ত্রিত ছিলেন। পরে গান গাওয়ার জন্য মঞ্চে উঠেই মাতলামি শুরু করেন নোবেল। এ সময় তাকে উদ্দেশ্য করে দর্শকরা জুতা ও পানির বোতল নিক্ষেপ করে। ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠে।

মো. জুয়েল রানা/এমজেইউ