সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, আমরা ইভিএম প্রত্যাখ্যান করি। ইভিএম পদ্ধতি মানেই একটি শুভঙ্করের ফাঁকি। ইভিএম হচ্ছে এক ধরনের প্যাকেজ। আর প্যাকেজের নির্বাচন সিলেটবাসী মানে না।

সোমবার (১ মে) দুপুরে মে দিবস উপলক্ষ্যে জেলা ও মহানগর শ্রমিক দলের মিছিলপূর্ব সমাবেশে সিলেট নগরের রেজিস্টারি মাঠে তিনি এসব কথা বলেন।

ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, জাতীয়ভাবে যেখানে ইভিএম প্রত্যাখান করা হয়েছে সেখানে সিটি নির্বাচনে ইভিএম আনা এক ধরনের প্রহসন। ইভিএম হচ্ছে মেকানিজমের মাধ্যম। ইভিএমে আপনারা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন আর তা চলে যাবে অন্যদিকে। ইভিএম সম্পর্কে আমার এই এলাকার মানুষ কোনোভাবেই অবগত নয়। 

এ সময় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যদি জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আপনারা কিছু করে থাকেন তাহলে দায়দায়িত্ব আপনাদেরকেই নিতে হবে। যদি ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন করতে চান তাহলে কী প্রশাসনের ব্যাপক রদবদল আপনাদের চোখে পড়ে না?

তিনি আরও বলেন, সিলেটের মানুষ আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের অধিকার আদায় করেছে। সিলেটের মাটি হযরত শাহজালাল ও শাহ পরানের মাটি। এই মাটিতে শায়িত আছেন ৩৬০ আউলিয়া। এই মাটি বোরহান উদ্দিনের মাটি, এই মাটি শ্রী চৈতন্যের মাটি। এই মাটি সকল ধর্মের, সকল বর্ণের। তাই এই মাটিকে আধ্যাত্মিক রাজধানী বলা হয়। এই মাটি ও মানুষের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নেবে তাদের মহান আল্লাহ ছাড়বেন না। এই মাটির সঙ্গে বেইমানি করে অতীতে কেউ পার পায়নি, ভবিষ্যতেও পার পাবে না।

সিলেটের জনগণ সম্পর্কে আরিফুল হক বলেন, সিলেটের মানুষ নেতৃত্ব দিতে পারবে। এখানে নেতৃত্ব দিতে এই মাটির মানুষই যথেষ্ট। বাইরে থেকে কেউ এখানে এসে আমাদের নেতৃত্ব দিয়ে তাদের দাস বানাতে পারবে না। আমরা কারও দাস হতে চাই না। আমাদেরকে রক্তচক্ষু দেখিয়ে লাভ হবে না। সিলেটের মানুষ ইভিএমে ভোট মানে না।

তিনি আরও বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করবো কিনা তা এই নগরের ৪২টি ওয়ার্ডের মানুষকে নিয়েই প্রকাশ্যে জানাব। সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকার মুরুব্বি ও যুবকদেরকে সঙ্গে নিয়েই আগামী ২০ মে সিলেটের ঐতিহাসিক রেজিস্টারি মাঠে আমি আমার বক্তব্য পরিষ্কার করবো ইনশাআল্লাহ। আমরা কোনো নীলনকশার নির্বাচন মানি না, মানব না।

শ্রমিকদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শ্রমিকদের দাবিদাওয়া আদায়ে আমরা সব সময় বদ্ধপরিকর। শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করে যেতে হবে।

মাসুদ আহমদ রনি/এমজেইউ