নেত্রকোণার বারহাট্টায় বখাটের দায়ের কোপে নিহত স্কুলছাত্রী মুক্তি রানি বর্মণের (১৬) পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলী খান খসরু।

রোববার (৭ মে) দুপুরে তিনি উপজেলার বাউসী ইউনিয়নের প্রেমনগর গ্রামে মুক্তি বর্মণের বাড়িতে গিয়ে তার মা-বাবা ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন এবং সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় সর্বোচ্চ আইনের শাসন চান। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন। কোনো দুষ্কৃতকারী অপকর্ম করে পার পাবে না। তাকে শাস্তি পেতেই হবে। শেখ হাসিনা চান দেশের সবাই শান্তিতে থাকবে এবং স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।

এ সময় মুক্তি রানি বর্মণের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ সব সময় তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অসিত কুমার সরকার সজল, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মানিক, বারহাট্টা উপজেলা চেয়ারম্যান মাইনুল হক কাসেম প্রমুখ।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২ মে) বিকেলে বারহাট্টা উপজেলার প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুক্তি রানি বর্মণকে কুপিয়ে আহত করে বখাটে কাউছার মিয়া (১৮)। তাকে প্রথমে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওই এলাকার একটি জঙ্গল থেকে জেলা ডিবি পুলিশের একটি টিম ঘাতক কাউছারকে গ্রেপ্তার  করে। মুক্তির বাবা বাদী হয়ে কাউছারের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় মুক্তি বর্মণকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে পুলিশ ও আদালতে কাউছার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

মো. জিয়াউর রহমান/এমজেইউ