বরগুনায় জাটকা পরিবহন এবং জাটকা শিকারের দায়ে চার জেলেকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর আগে সদর উপজেলার বিষখালী নদী ও তালতলী পায়রা নদী এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময় বিপুল পরিমাণ অবৈধ জাল জব্দ করা হয়। বুধবার (১০ মে) সকালে বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৯ মে) বরগুনা সদর উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিষখালী নদী থেকে নিষিদ্ধ ২৬টি বেহুন্দি, দুইটি চায়না দুয়ারি এবং পাঁচ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে জালগুলো পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়। জব্দকৃত জালগুলোর আনুমানিক মূল্য ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

এ সময় জাটকা পরিবহনের দায়ে রিয়াজ (২৮) নামে একজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আল নূর।

অপরদিকে মঙ্গলবার দুপুরে তালতলীর পায়রা নদীতে জাটকা শিকার করায় তিন জেলেকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিফাত আনোয়ার তুমপা।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মজিবর গাজি (৩২), মো. সোলাইমান (২৫) ও মো. ছিদাম (৫০)। তাদের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষার পাশাপাশি মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এ ধরনের অভিযান নিয়মিত পরিচালিত হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে গতকাল বরগুনা ও তালতলীতে পৃথক অভিযান পরিচালিত হয়। জব্দ হওয়া জালগুলো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়।

খান নাঈম/এমজেইউ