অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার উপকূল থেকে ১ হাজার ২৫ কিলোমিটার দূরে (দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে) অবস্থান করছে। এজন্য কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা উচ্চতায় ঢেউ আছড়ে পড়ছে। তবে হালকা বৃষ্টি ও সতর্কতা সংকেত উপেক্ষা করে সাগরে নামছেন কিছু পর্যটক। লাইফগার্ডের নির্দেশনাও মানছেন না তারা।

শুক্রবার  (১২ মে ) সকাল থেকেই কক্সবাজার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। বেলা গড়িয়ে দুপুর হলেও সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি। সকাল ১১টার পর কক্সবাজারের আকাশ থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ঝরতে থাকে। যদিও জনজীবনে তা খুব একটা প্রভাব ফেলেনি। বর্তমানে কক্সবাজারের আশপাশের এলাকায় হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে হাজারো পর্যটক সমুদ্রের লোনাপানিতে নেমে গোসল করছেন।

সৈকতে টানানো হয়েছে লাল পতাকা। কক্সবাজারসহ দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে আতঙ্কে দিন পার করছেন উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা। মোখার প্রভাবে আগামী এক সপ্তাহ সাগর উত্তাল থাকবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে সি সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন ভুট্টু বলেন, এই মুহূর্তে সাগর খুবই উত্তাল। পর্যটকদের সাগরে নামতে নিষেধ করলেও তারা কোনো পাত্তা দিচ্ছে না। আর পর্যটকদের সর্তক করতে লাল পতাকা টানানো হয়েছে।

ঢাকা থেকে আগত পর্যটক জিকু বলেন, সমুদ্র পাড়ে এসেছি ঘূর্ণিঝড় দেখতে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় এখনো দেখতে পাচ্ছি না। তবে ঢেউয়ের উচ্চতা একটু বেশি।

জোবাইর নামে আরেক পর্যটক বলেন, এই রকম উত্তাল সাগর আগে দেখেনি। খুব ভয় হচ্ছে। তাই সাগরে গোসল করতে নামছি না। গোসল করার চেয়ে জীবন আগে বলেও মন্তব্য করেন এই পর্যটক।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মোখার কারণে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সব উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জেলার উপকূলীয় এলাকার সাইক্লোন শেল্টার ও বিদ্যালয়সহ ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ১০ লাখ ৩০ হাজার নগদ টাকা, ৪৯০ মেট্টিক টন চাল, ৭ মেট্টিক টন শুকনো খাবার ও ১৯৪ বান্ডিল ঢেউ টিন মজুদ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পর্যটকদের সমুদ্র নামতে নিষেধ করা হয়েছে।

সাইদুল ফরহাদ/এবিএস