অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। এজন্য সমুদ্র উপকূলে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি উচ্চতায় ঢেউ আছড়ে পড়ছে। এ অবস্থায় কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় ঝুঁকিতে থাকা দুই লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে গবাদি পশুদেরও নিয়ে আসা হয়েছে। 

শনিবার (১৩ মে) রাত ১০টা পর্যন্ত দুই লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ।

তিনি জানান, প্রশাসনের পক্ষে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে মোখা মোকাবিলায় তৎপরতা চালানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। তারা সঙ্গে গবাদি পশুসহ অন্যান্য মালামালও নিয়ে এসেছে। এখনও মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আসছেন। জেলায় ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া জেলার অর্ধশত আবাসিক হোটেল ও বহুতল ভবনকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। 

তিনি আরও জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ইতোমধ্যে প্রায় সব মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। যেখানে বর্তমানে চার হাজার ৩০৩ জন মানুষ রয়েছে। দ্বীপের ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে তারা অবস্থান নিয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়া মানুষকে রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে। সেখানে প্রস্তুত রয়েছে জরুরি মেডিকেল টিম। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদানও অব্যাহত রয়েছে।

সাইদুল ফরহাদ/কেএ