ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলায় হালকা বাতাসের সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোররাত থেকে জেলার বিভিন্ন জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

এছাড়া আকাশ পুরোপুরি মেঘাচ্ছন্ন না থাকলেও পরিবেশ গুমোট অবস্থায় রয়েছে। একইসঙ্গে বাড়ছে নদীর পানি।

এদিকে, শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাত ১০টার পর থেকে ভোলার দৌলতখান, মনপুরা, চরফ্যাশন, লালমোহন উপজেলাসহ অনেক জায়গায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়। এসব উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছে।

দৌলতখান উপজেলার মেঘনা নদীর মাঝের ইউনিয়ন মদনপুর। সেখানকার ইউপি সদস্য ফারুক দৌলত বলেন, শনিবার রাত ১০টা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে, সঙ্গে হালকা বাতাস। ২০০-২৫০ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন। তাদেরকে শুকনা খাবার দেওয়া হয়েছে।

ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল চটকিমারা। এখানে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের বাস। কিন্তু সাইক্লোন শেল্টার আছে মাত্র তিনটি। ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, ‘লোকজনকে বুঝিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে এনেছি। তবে সবাই আসেনি।’

জেলা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আবহাওয়া অফিসের পূর্বের সংকেত অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টি রোববার (১৪ মে) দুপুরের পর উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে। ভোলা উপকূলীয় এলাকায় ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত চলমান আছে। এ সংকেত বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। এতে জেলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর পানি ৭-৮ ফুট উচ্চতায় বাড়ার আশঙ্কা করা হয়েছে।

ভোলার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ইতোমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দারা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আসতে শুরু করেছেন। জেলার ২২ লাখ মানুষের জন্য ৭৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ১৯ হাজার স্বেচ্ছাসেবী মাঠে কাজ করছেন। 

এমজেইউ