পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় নদীতে পাথর তুলতে গিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে আহত বাংলাদেশি যুবক পলাশ (৩৫) চিকিৎসারত অবস্থায় মারা গেছেন। 

রোববার রাতে রংপুর মেডিকেলে মারা যাওয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, দুপুরে গুলিবিদ্ধ পাথর শ্রমিক পলাশকে আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সেখানেই সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করা হবে।

এর আগে রোববার দুপুরে তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউপির অন্তর্গত ভুতিপুকুর সীমান্তের সাও নদীতে পাথর তুলতে গেলে বিএসএফের গুলিতে আহত হন। পলাশ ওই ইউনিয়নের বগুলাটি গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।

বিজিবি ও স্থানীয়রা জানান, পলাশ সীমান্তের সাঁও নদীতে অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে তিনিও পাথর তুলছিলেন। ওই সময় আকস্মিক ভারতের টেপরাভিটা ১৯৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কয়েকজন সদস্য নদী পাড়ের চা বাগান থেকে শ্রমিকদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।  

গুলির শব্দ শুনে শ্রমিকরা পালিয়ে গেলেও পলাশ বিএসএফের গুলিতে মাটিতে পড়ে যায়। পলাশকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে কয়েকজন শ্রমিক দৌড়ে ফিরে এসে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে দ্রুত পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসকার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। পরে তাকে রংপুরে নেওয়া হয়। 

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক রাকিবুল হাসান বলেন, পলাশ নামের এক রোগীকে জরুরি বিভাগে আনা হলে তার পেটের বাম পাশে গুলির আঘাত ও ক্ষত পাওয়া গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

পঞ্চগড়-১৮ বিজিবির লেফট্যানেন্ট কর্নেল যোবায়েদ হাসান বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের আহ্বান করা হয়েছে।

এসকে দোয়েল/আরকে