শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২৮ মে) সকাল ১১টার দিকে আইনজীবীদের কল্যাণ তহবিলের টাকা আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিতে করা মানববন্ধনে এ ঘটনা ঘটে। এতে মানববন্ধন কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়।

জানা যায়, ২০১৮ সাল থেকে ঘুরে ফিরে সমিতির দায়িত্ব পালন করেন অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট আবু সাইদ। দায়িত্ব পালনকালে আইনজীবীদের কল্যাণ তহবিলের স্থায়ী আমানতের (এফডিআর) ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন তারা দুইজন। এমন অভিযোগ এনে তাদের দুইজনের সদস্যপদ স্থগিত করে সমিতির ভবনে থাকা চেম্বার দুইটির বুকিং বাতিল করে সমিতি। এ ঘটনা নিয়ে শরীয়তপুর জেলার আইনজীবীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করে আসছিল।

তবে, অভিযুক্ত আইনজীবী জহিরুল ইসলামের দাবি, বার কাউন্সিল সমিতির সিদ্ধান্ত স্থগিত করায় কতিপয় আইনজীবী তা মেনে নিতে পারেনি বলে সাধারণ আইনজীবীদের ব্যানারে গুটি কয়েক আইনজীবী মানববন্ধন করেছে।

মানববন্ধনে হামলার বিষয়ে অ্যাডভোকেট মো. মুরাদ হোসেন মুন্সী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২০১৯-২০ সালে সমিতির সাবেক সভাপতি ও সম্পাদক সাধারণ আইনজীবীদের কল্যাণ তহবিলের প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বিষয়টি আমরা জানতাম না। এ বছর নতুন কমিটি হওয়ার পরে বিষয়টি জানতে পেরে তাদের শাস্তি নিশ্চিত ও টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করছিলাম। বর্তমান কার্যকরী কমিটি বিষয়টি নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আমরা সাধারণ আইনজীবীরা মানববন্ধনের আয়োজন করেছিলাম। মানববন্ধনে আইনজীবীদের পোষাক পরে কিছু লোক এসে আমাদের ওপর হামলা করেছে। হামলায় আমাদের অনেক আইনজীবী আহত হয়েছেন। আমরা এই হামলার বিচার চাই। যদি বিচার না পাই তাহলে আমরা আরও বড় কর্মসূচি দেব।

আরও পড়ুন : শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক ও বর্তমান সভাপতির পদ স্থগিত

এ বিষয়ে আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও অভিযুক্ত আইনজীবী জহিরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাধারণ আইনজীবীদের ব্যানারে সমিতির সদস্য মুরাদ হোসেন মুন্সী, মেহেদী হামিদি, সানোয়ার হোসেন মল্লিক, মোতালেব, সাইদুর রহমানসহ কতিপয় আইনজীবী বার কাউন্সিলের আদেশ মেনে না নিতে পারার কারণে বিচ্ছন্নভাবে মানববন্ধনের আয়োজন করেছে।

তিনি আরও বলেন, সিনিয়র আইনজীবী বা সমিতির সিদ্ধান্ত ছাড়া এই মানববন্ধন আয়োজন করায় সাধারণ আইনজীবীরা তাদের কাছে জানতে চেয়েছে আমরাও তো সাধারণ আইনজীবী আমাদের কেন কর্মসূচির বিষয়ে বললেন না? যেহেতু সাধারণ আইনজীবীদের ব্যানারে মানববন্ধন করেছেন সেহেতু সাধারণ আইনজীবীদের বললেন না কেন? আমি একটি রাজনৈতিক সংগঠন করি, আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য তারা মানববন্ধন করেছে। সমিতির টাকা আবু সাইদ ফেরত দিবে বলে স্বীকার করার পরেও তারা ৭-৮ জন আইনজীবী আমাকে অপদস্ত করার জন্যই এই কাজ করেছে।

এবিএস