স্বাধীনতা দিবসে চলে গেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম
ঝালকাঠি সদর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম লাল (৬৫) শুক্রবার রাত আড়াইটায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
জুম্মার নামাজ শেষে ঝালকাঠি কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়েছে। এর আগে রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
বিজ্ঞাপন
ঝালকাঠি শহরের রোনালসে রোডের স্থায়ী নাগরিক শামসুল আলম লালরা আট ভাই। এর মধ্যে তিনিসহ চারজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
তারা হলেন, সরদার শামসুল হক আক্কাস, শামসুল হুদা তারা ও শামসুল আতিক।
কর্মজীবনে তিনি প্রথমে সিলেট ক্যাডেট কলেজ, এরপর বরিশাল ক্যাডেট কলেজের লাইব্রেরি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে অবসরে যান শামসুল আলম লাল। এরপর শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফুলকুঁড়ি আসরের অধ্যক্ষ ছিলেন। ব্যক্তি জীবনে স্ত্রী, ৩ মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জনক ছিলেন শামসুল আলম লাল।
বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গত, গত ২৩ মার্চ হঠাৎ অসুস্থ বোধ করেন শামসুল আলম লাল। এরপর ২৫ মার্চ প্রথমে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে, পরে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিসিউ ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার মৃত্যুতে ঝালকাঠির বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ শহরবাসীর মধ্যে শোক নেমে এসেছে।
শামসুল আলম লালের মৃত্যুতে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষে ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা দুলাল সাহা শোক প্রকাশ করেছেন।
ইসমাঈল হোসাঈন/এমএএস