ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মেহেদি মৃধা (২৩) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (৪ জুন) রাত সাড়ে নয়টার দিকে বোয়ালমারী পৌরসভার রায়পুর মহল্লার একটি খোলা মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মেহেদি মৃধা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কামারগ্রাম মহল্লার সালাম মৃধার ছেলে এবং তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। মেহেদি দুই কন্যা সন্তানের বাবা।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাত ৯টার দিকে বাড়ি থেকে পাশের সুমনের দোকানে যাওয়ার কথা বলে বের হন মেহেদি। পরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে রায়পুর মহল্লার হেলাল মিয়ার মুরগী ফার্মের পাশে একটি খোলা মাঠে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্ত্রী সোনিয়া বেগম জানান, রাত ৯টার দিকে বিদ্যুৎ না থাকায় বাড়ির পাশে সুমনের দোকানে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন তার স্বামী মেহেদী মৃধা। এরপর শুনতে পান তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, জমাজমি নিয়ে বাড়ির পাশের এক ব্যক্তির সঙ্গে আমাদের বিরোধ চলছিল। তারা আমার স্বামীর নামে মামলাও করেছে। তারাই আমার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমার ছোট ছোট দুটি মেয়ে রয়েছে, তাদের নিয়ে কীভাবে বাঁচবো। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চান।

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ আজিজুল বলেন, কয়েকদিন আগে ওই এলাকার এক ব্যক্তির সঙ্গে মেহেদীর পরিবারের মারামারি হয়। সেই মারামারির জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।

বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সিরাজুল ইসলাম বলেন, নিহতের পা এবং মুখে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে কারণে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে জমিজমা নিয়ে তাদের বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে গত মার্চ মাসে তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটে। ওই বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

তিনি আরও বলেন, নিহতের মরদেহ বর্তমানে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। সোমবার (৫ জুন) সকালে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

জহির হোসেন/এবিএস