প্রস্তাবিত উন্নয়ন বাজেটের ৪০ ভাগ কৃষিখাতে বরাদ্দের দাবিতে জানিয়েছে কৃষক সংগ্রাম পরিষদ। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে ৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ কৃষিখাতে বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা কৃষিখাতে সামগ্রিক প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগন্য বলে মনে করছেন পরিষদের নেতারা।

দাবি আদায়ে মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুর দুইটায় রংপুরের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়। জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ।

স্মারকলিপি প্রদান শেষে কৃষক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট পলাশ কান্তি নাগ বলেন, কৃষি দেশের অন্যতম উৎপাদনমূখী খাত। এ খাতে দেশের মোট কর্মশক্তির ৪৬ ভাগ নিয়োজিত। কৃষকরা পরিশ্রম করে মানুষের মুখে অন্নের যোগান দেয়। কিন্তু বাজেটে সেই কৃষি খাত বরাবরই উপেক্ষিত থাকে। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে ৪ দশমিক ৬৪ ভাগ কৃষি খাতে বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা কৃষি খাতে সামগ্রিক প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগন্য।

তিনি আরও বলেন, কৃষি উপকরণের মূল্য লাগামহীনভাবে বাড়ানো হচ্ছে। বিশ্ববাজারে সারের দাম কমা সত্ত্বেও সরকার গত এক বছরে কেজি প্রতি ১১ টাকা বাড়িয়েছে। একইভাবে বীজ, কীটনাশক, বিদ্যুতের মূল্য দফায় দফায় বাড়ছে। ফলে কৃষকের উৎপাদন খরচ বহুগুণ বেড়েছে। কিন্তু মৌসুমের সময় উৎপাদিত ফসলের দাম অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়। কারণ কৃষি উপকরণ ও ফসলের বাজার দুইই কিছু মুনাফালোভী ও কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে থাকে।

পলাশ কান্তি নাগ বলেন, সরকার নানা আইন কানুন করে এ সকল পুঁজিপতিদের মুনাফার নিশ্চয়তা দিচ্ছে। আর প্রতিনিয়ত ঠকছে কৃষক। কৃষকের স্বার্থে কৃষি উপকরণ ও ফসলের ক্রয়-বিক্রয়ের রাষ্ট্রীয় প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। সার, বীজ, কীটনাশকের দাম কমানো ও কৃষি ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করাসহ কৃষক-ক্ষেতমজুরদের সংকট সমাধানে বাজেটে উন্নয়ন অংশের ৪০ ভাগ কৃষি খাতে বরাদ্দ করতে হবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সবুজ রায়, আতোয়ার হোসেন বাবু, সানজিদা আক্তার, সাঈদ খাঁন, শিক্ষানবিশ আইনজীবী স্বপন রায় প্রমুখ।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এবিএস