রাজশাহীর কাটাখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৮ মাইক্রোবাস আরোহীর মধ্যে ১৭ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। পাভেল (১৯) নামে একজনের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) রয়েছেন। শুক্রবার মধ্যরাতে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।

পাভেল রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার রায়পুরের ডারিকাপাড়া গ্রামের মোখলেছার রহমানের (৪৫) ছেলে। দুর্ঘটনায় তার বাবা মোখলেছার ও মা পারভীন (৩৫) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। 

হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ এএসআই রুহুল আমীন বলেন, পরিচয় জটিলতায় তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তার পরিচয় পাওয়া যায়। 

এদিকে, রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, ওই মাইক্রোবাস আরোহীর মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। তার শরীর আগুনে পোড়া নয়। ক্লিনিক্যালি তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। সকালে (শনিবার) সিটিস্ক্যান করা হয়েছে তার। রিপোর্ট পেলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। 

এই দুর্ঘটনায় আহত হয়ে আরও তিনজন রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে একজন হানিফ পরিবহনের হেলপার। অন্য দুইজন বাসের যাত্রী ছিলেন। 

শুক্রবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে কাটাখালী থানার সামনে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে বাস-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটিতে আগুন লেগে যায়। দুর্ঘটনার পর আটজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এদের মধ্যে ছয়জন মারা যান। পরে আগুনে পোড়া মাইক্রোবাস থেকে নারী ও শিশুসহ ১১ জনের মরদেহ  উদ্ধার করা হয়। 

এই ঘটনায় রাতে নগরীর কাটাখালী থানায় হানিফ পরিবহনের চালককে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। পলাতক চালককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এসপি