লক্ষ্মীপুরে বন্ধ সব স্বর্ণের দোকান
লক্ষ্মীপুরে ককটেল ফাটিয়ে দোকানে ঢুকে ব্যবসায়ী অপু কর্মকারকে কুপিয়ে স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনায় ধর্মঘট ও মানববন্ধনের ডাক দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার (১২ জুন) জেলার সব সোনার দোকান বন্ধ রয়েছে। এদিন বিকেল ৩টায় লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার উদ্যোগে মানববন্ধনের আয়োজন করে।
এদিকে ডাকাতির ঘটনা গ্রেপ্তার আসামি সজিব ও মুনছুর লক্ষ্মীপুর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শনিবার তারা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবু ইউছুফের কাছে এ জবানবন্দি দেন। সজীব বরগুনা জেলার বামনা থানার খুসনিছড়া গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে ও মুনসুর নরসিংদী জেলার মাধবদী থানার বাগবাড়ি এলাকার মৃত আজিজুলের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
বাজুস জেলা শাখার সভাপতি হরিহর পাল বলেন, শনিবার আমাদের জরুরি সভা করা হয়েছে। এতে আমরা দোকান বন্ধ রেখে ও মানববন্ধন কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজ সকাল ৯টা থেকে দোকান বন্ধ রেখে কর্মসূচি চলছে। রাত ৯টা পর্যন্ত জেলার সব সোনার দোকান ও কারখানা বন্ধ থাকবে। বিকেলে দোকান মালিক ও কর্মচারীরা লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করবেন।
থানা পুলিশ জানায়, ৭ জুন রাত ৮টার দিকে পিকআপ ভ্যানে করে একদল ডাকাত এসে ককটেল ফাটিয়ে শহরের আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মোড়ে আর কে জুয়েলার্সে ঢোকে। এসময় তারা মালিক অপু কর্মকারকে কুপিয়ে আহত করে ২০-২২ ভরি স্বর্ণ লুটে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আহত ব্যবসায়ীর ছেলে প্রান্ত কর্মকার বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ ও অচেনা আরও ৭-৮ জনকে আসামি করেন।
বিজ্ঞাপন
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফা বলেন, গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ঘটনার সময় তারা ৮ জন ছিলেন। লুট হওয়া স্বর্ণের মধ্যে প্রায় ৩ ভরি উদ্ধার করা গেছে। বাকি স্বর্ণ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
হাসান মাহমুদ শাকিল/আরকে