সিরাজগঞ্জের আলোচিত ৩৫ মণ ওজনের ২৫ লাখ টাকা দাম হাঁকানো আমেরিকান জাতের ষাঁড় ডলার শেষ পর্যন্ত বিক্রি হয়নি। তবে বিক্রি না হলেও ফার্মের মালিক জাহিদ হাসান জেমি নিজেই ডলারকে কোরবানি দেবেন বলে জানিয়েছেন। ডলার জেলার সবচেয়ে বড় গরু। 

বুধবার (২৮ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নে অবস্থিত আরাভ এগ্রো ফার্মের ব্যবস্থাপক আলমগীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, আরাভ এগ্রো ফার্মের ২৫০টি ষাঁড়ের মধ্যে ‘ডলার’ সবচেয়ে বড়। ওই ষাঁড়টির উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুট, দৈর্ঘ্য সাড়ে ৯ ফুট এবং প্রস্থ প্রায় পৌনে ৩ ফুট। নয় শ্রমিক মিলে বিশেষ যত্ন আর নিয়ম করে ডলারকে গোসল করানো থেকে শুরু করে তিনবেলা খাবার খাওয়ানোর কাজ করেছেন। ডলার ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির ষাঁড়, ছাগল, দুম্বা, মহিষ, গাড়ল পালন করা হচ্ছে এই ফার্মে। সেগুলোর বেশির ভাগ বিক্রি হয়েছে। তবে ডলার বিক্রি না হলেও মালিক নিজেই কোরবানি করবেন।

আরাভ এগ্রো ফার্মের ব্যবস্থাপক আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা ২৫ লাখ টাকা দাম হাঁকালেও শেষ পর্যন্তও ডলার বিক্রি হয়নি। তবে এর কাছাকাছি দাম বললেও বিক্রি করে দিতাম। কিন্তু গ্রাহক যে দাম বলে তাতে বিক্রি করা সম্ভব নয়। এজন্য খামারের মালিক জাহিদ হাসান জেমি আগেই নিয়ত করেছিলেন যদি ডলার যথাযথ মূল্যে বিক্রি না হয় তবে নিজেই এটিকে কোরবানি করবেন। এখন সেই প্রস্তুতি চলছে।

তিনি আরও জানান, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ফার্মে পালন করা ‘ডলার’ নামে মার্কিনমূলকের ব্রাঙ্কাস জাতের ওই ষাঁড় সম্প্রতি পশু প্রদর্শনীতে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও জেলার সবচেয়ে বড় ষাঁড়ের মর্যাদা লাভ করেছিল। এবং এর দাম এবার ২০ লাখের মতো উঠেছিল।

শুভ কুমার ঘোষ/এমএ