বিধ্বস্ত ঘর-বাড়ি পরিদর্শন করছেন প্রশাসনের লোকজন

হবিগঞ্জের ৯ উপজেলায় আধা ঘণ্টার ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শত শত আধা পাকা ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। অনেক স্থানে সকাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি।  

মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ করে ঝড় শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে গোটা জেলা। ঝড়ের সময় কোনো কোনো স্থানে শিলা বৃষ্টি হয়েছে। এতে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শহরের অনেক স্থানে গাছপালা ভেঙে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিরা গভীর রাত পর্যন্ত চেষ্টা করে রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক করেছে। 

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ছোট বহুলা গ্রামের বাসিন্দা আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ জানান, ঝড়ে তার এলাকায় শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক দরিদ্র মানুষ বিপাকে পড়েছে। 

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ মইনুল হক আরিফ বলেন, ঝড়ে গুঙ্গয়াজুড়ি হাওরের ধানের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে ঝড় ও শিলা বৃষ্টি বেশিক্ষণ না হওয়ায় অনেকে রক্ষা পেয়েছেন।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড হবিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল মজিদ জানান, জেলা শহরের সাতটি স্থান থেকে খুঁটি ভেঙে পড়ার খবর এসেছে। একটি ট্রান্সফরমারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লাইন মেরামতের কাজ চলছে। অনেক স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। দুপুরের মধ্যে বাকিটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। 

হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. মোতাহার হোসেন জানান, ঝড়ে কমপক্ষে দশটি স্থান থেকে খুঁটি ভেঙে পড়ার খবর এসেছে। লাইনের ওপর থেকে গাছ অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। সকালের দিকে কিছু স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। আমাদের কর্মীরা দ্রুত কাজ করছে। বিদ্যুতের খুঁটি ও লাইন মেরামতের কাজ শেষ হলেই বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে। 

মোহাম্মদ নুর উদ্দিন/এসপি