নিখোঁজ কৃষকের সন্ধান চায় পরিবার
দুই বছর আগে নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলা সদরের বাজার থেকে নিখোঁজ হওয়া কৃষক মো. আলতু মিয়ার (৪১) প্রতীক্ষায় আজও দিন গুনছে তার পরিবার। অনেক খুঁজেও এ পর্যন্ত পরিবারের লোকজন তার সন্ধান পাচ্ছেন না।
এ ঘটনায় ওই সময়ই নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় কেন্দুয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। জিডির পর পুলিশও তার সন্ধান পায়নি।
বিজ্ঞাপন
নিখোঁজ আলতু মিয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের কচন্দরা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই গ্রামের মৃত চানফর আলীর ছেলে।
আলতু মিয়ার বড় ভাই মো. আবদুল হাই গত বুধবার (১২ জুলাই) বিকেলে জেলা প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের জানান, গত ২০২১ সালের ১৩ আগস্ট আলতু মিয়া বিকেল পাঁচটার দিকে বাড়ি থেকে কচন্দারা বাজারে যান। সেখান থেকে রাত পৌনে আটটার দিকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। এরপর আর তিনি ফেরেনি। বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি মুঠোফোনও ব্যবহার করতেন না। ঘটনার চারদিন পর কেন্দুয়ায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
বিজ্ঞাপন
নিখোঁজ আলতু মিয়ার গায়ের রং উজ্জ্বল শ্যামলা, মুখমণ্ডল লম্বাটে, মাথার চুল কালো, উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। কথা বলার সময় সামান্য তোতলা (জড়তা) লক্ষ্য করা যায়। হারিয়ে যাওয়ার সময় তার পরনে চেক লুঙ্গি ও চেক সার্ট ছিল।
আবদুল হাই বলেন, আমার ভাই সহজ সরল প্রকৃতির লোক। তার সামান্য জায়গা জমি আছে। নিখোঁজ হওয়ার কয়েক মাস আগে থেকে জমি-সম্পত্তি নিয়ে এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে তার মনোমালিন্য চলছিল। তার স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। একমাত্র মেয়ে ঈশামনি তার নানার বাড়ি সদর উপজেলার কাংশা গ্রামে থেকে লেখাপড়া করছে।
তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার নিখোঁজ ভাইটি এতো দিনে কোথায়, কী অবস্থায় আছে-এ চিন্তায় আমাদের পরিবারের লোকজন ও স্বজনরা চিন্তায় আছে।
কেন্দুয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলী হোসেন বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। যেহেতু দুই বছর আগের ঘটনা সেহেতু বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
মো. জিয়াউর রহমান/এমএএস