কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ভাই-বোন হত্যা মামলার প্রধান আসামি চাচা আব্দুল কাদির (৪৪) আত্মসর্পণ করেছেন। সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুরে আদালতে আত্মসর্পণ করে জামিন চান তিনি। 

হোসেনপুর আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিন্নাত আরা জামিন আবেদন নাকচ করে কাদিরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

এর আগে গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল কাদিরের স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিনের জামিন হয়েছে বলে জানিয়েছন আদালত পরিদর্শক মো. আবু বকর সিদ্দিক। তবে আব্দুল কাদিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন হোসেনপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান টিটু।

আরও পড়ুন : হোসেনপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় ভাই-বোন নিহত, আহত ৫ 

প্রসঙ্গত, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের কুড়িমারা পূর্বপাড়া গ্রামের বিরোধপূর্ণ জমির সীমানায় গাছ লাগানোকে কেন্দ্র করে আব্দুল কাদিরের বিরোধ ছিল বড় ভাই শামসুল ইসলামের সঙ্গে। সীমানায় গাছের চারা রোপণ নিয়ে গত ১৩ জুলাই সকালে আব্দুল কাদির ও তার পরিবারের লোকজন শামসুল ইসলামের পরিবারের লোকজনের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে শামসুল ইসলামের বড় ছেলে মাহমুদুল হাসান আলমগীর (৩০) ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং ঘটনার দিন মেয়ে নাদিরা আক্তার (২১) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন শামসুল ইসলামের স্ত্রী শাহিদা আক্তার, দুই ছেলে সালমান ও হুমায়ুন কবীর।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ইমরান ও আরমান রোববার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিন্নাত আরার আদালতে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। 

এ ঘটনায় বড় ভাই শামসুল ইসলাম বাদী হয়ে হোসেনপুর থানায় ছোট ভাই আব্দুল কাদিরকে প্রধান আসামি করে ৭ জনের নামে মামলা করেন। আব্দুল কাদির ছাড়াও এখন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন কাদিরের ছেলে ইমরান, আরমান ও অপ্রাপ্তবয়স্ক আরও এক ছেলে। এখনও পলাতক রয়েছেন আব্দুল কাদিরের ভাই মুসলিম ও তার ছেলে মাসুম।

আরকে