শেবাচিম হাসপাতালে সুচিকিৎসা নিশ্চিতের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে রোগীদের সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করাসহ নয় দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বরিশাল নগর উন্নয়ন ফোরাম। কর্মসূচি শেষে প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সরকারের ছয়টি দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুরে হাসপাতাল চত্বরে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
বিজ্ঞাপন
আন্দোলন কর্মসূচির সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, অমরা অত্যন্ত স্পষ্ট ও ন্যায়সংগত দাবি নিয়ে কর্মসূচি পালন করেছি। এই দাবিগুলো শুধু আমার নয়, পুরো দক্ষিণাঞ্চলবাসীর। এই অঞ্চলের মানুষের চিকিৎসার ভরসাস্থল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। কিন্তু অব্যবস্থাপনা, জনবল সংকটসহ বিভিন্ন কারণে রোগীরা সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, মাত্র কয়েকজন ব্যক্তির স্বার্থের জন্য দিন দিন হাসপাতালটি ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এখানে চিকিৎসকরা সঠিকভাবে চিকিৎসা দিচ্ছেন না। ল্যাব বন্ধ, অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ, রোগীরা ঠিকমতো খাবার পায় না, আইসিইউতে অক্সিজেন নেই। শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীরা মৌলিক সেবা পর্যন্ত পাচ্ছে না।
বিজ্ঞাপন
আন্দোলনের যুব সংগঠনের সমন্বয়ক কিশোর চন্দ্র বালা বলেন, হাসপাতাল চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে আমরা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্মারকলিপি পাঠিয়েছি। এছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্য, বিভাগীয় কমিশনার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয় ও সিভিল সার্জন এই ছয়টি দপ্তরে স্মারকলিপির অনুলিপি প্রদান করি।
দাবিগুলো হচ্ছে- নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্সসহ প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ করা; প্রজ্ঞাপনের শর্তানুয়ায়ী হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটি পরিচালনা করা; হাসপাতালের সকল প্রকার চিকিৎসা সামগ্রী, অপারেশন থিয়েটার, ল্যাবরেটরি ব্যবহার উপযোগী করা; পূর্ণমাত্রায় অক্সিজেন সরবরাহ করা; হাসপাতালে রেখে রোগীদের বাইরের ক্লিনিক/ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করাতে না পাঠানো; পরিষেবা ওয়ার্ডের বেড, বাথরুম ব্যবহার উপযোগী করা; সবগুলো লিফট ও এসি চালু করা; মানসম্পন্ন অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, রোগীদের খাবার নিশ্চিত করা এবং রোগীদের চাপ সামলাতে স্থানীয় দক্ষ চিকিৎসকদের পরিচালিত হাসপাতালের সঙ্গে রেফারেল চুক্তি করে সেবা নিশ্চিত করা।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমজেইউ