পুলিশ ও বিজিবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছে

মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভা নির্বাচনে দুই কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এসএম হানিফের সমর্থকদের সাথে বিদ্রোহী প্রার্থী সোহেল রানা মিঠুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মাধ্যমে ঘটনার সূত্রপাত হয়। দুই পক্ষের সমর্থকরাই বোমা বিস্ফোরণ করেছে বলে পাল্টা পাল্টি অভিযোগ ওঠেছে।

এ ঘটনায় অন্তত ২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৬ রাউন্ড রাবার বুলেট, ৫ রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে । সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পাঙ্গাশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শিকারমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র এই ঘটনা ঘটে।

দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার সংখ্যা বাড়তে থাকে। সকালে ভোটার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

মাদারীপুর জেলা নির্বাচন অফিসার মো মনিরুজ্জামান জানান, কালকিনি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩৩ হাজার ৪শ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৬ হাজার ৯৫৮ জন ও নারী ভোটার ১৬ হাজার ৪৪২ জন। নির্বাচনে একজন জুডিশিয়াল বিচারকসহ মোট ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া ৬৭০ জন পুলিশ সদস্য, ২ প্লাটুন বিজিবি,র্যাবের ৩টি টিম, গোয়েন্দা পুলিশ ও আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছে।

প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ৩০ জন করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য রয়েছেন। মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ৬ জন। এছাড়া কাউন্সিলর পদে ৩০ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রার্থী নির্বাচন করছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবির হাসান বলেন, ২ নম্বর পাঙ্গাশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। খবর পাওয়া মাত্রই আমরা ওই কেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি। পুলিশ এবং বিজিবি ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে।

নাজমুল মোড়ল/এমআইএইচ