এবার প্রেমের টানে চীন থেকে নীলফামারীতে ছুটে এসে প্রেমিকাকে বিয়ে করলেন প্রেমিক। গত মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

প্রেমিক লীন ঝানরুই (৪৭) চীনের গুয়ানডং শহরের চিশুয়ী টাউনের লীন সিংকের ছেলে। অপরদিকে প্রেমিকা মিন্নি আকতার মিথুন (২০) নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের কয়ানিজ পাড়ার অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা একেএম মোস্তাফিজুর রহমানের মেয়ে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উত্তরা ইপিজেডের টিএইচটি-স্পেস ইলেট্রিক্যাল কোম্পানিতে টেকনিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন চীনা নাগরিক লীন ঝানরুই। একই কোম্পানিতে চাকরি করতেন মিন্নি। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে সৈয়দপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে এক সহকর্মীর বিয়ের অনুষ্ঠানে লীন ঝানরুই ও মিন্নির পরিচয় হয়। সেই পরিচয় থেকে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক।

এর মধ্যে লীন ঝানরুইকে তার কোম্পানি বিশেষ কারণ দেখিয়ে নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু প্রেমিকার টানে গত ঈদুল আজহার দুই দিন আগে লীন ছুটে আসেন সৈয়দপুরে। তারপর গত ১৮ জুলাই লীন আদালতের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন, নাম রাখেন মোহাম্মদ লাবীব। ওইদিনই শহরের অভিজাত একটি হোটেলে ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৫০১ টাকা দেনমোহরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন লাবীব ও মিন্নি।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিন্নির সহকর্মীরা জানান, তারা একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন এবং মোটরসাইকেলে প্রকাশ্যে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াতেন।

এ বিষয়ে মিন্নি আকতার মিথুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার প্রেমের টানেই সে চীন থেকে বাংলাদেশে এসেছে এবং মুসলিম শরিয়া মোতাবেক বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। চাকরি বড় বিষয় নয়, দুজনে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে সংসার গড়তে চাই। লাবীব যদি তার দেশে নিয়ে যেতে চায়, তাহলে অবশ্যই নিঃসঙ্কোচে চলে যাব।

চীনা নাগরিকের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ এবং বিয়ের বিষয়ে অবগত নন বলে জানান সৈয়দপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেশের প্রচলিত আইনে ধর্ম গ্রহণ বা বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

শরিফুল ইসলাম/এমজেইউ