হাফেজ নুরল ইসলাম মানবেতর জীবন-যাপন করছেন

মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে এক বছর ধরে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন হাফেজ মাওলানা মো. নুরল ইসলাম (৫৩)। তার এক হাত এবং এক পায়ের পাশাপাশি একটি চোখও এখন নষ্ট হওয়ার পথে। 

হাফেজ মাওলানা মো. নুরল ইসলাম শেরপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দমদমা কালিগঞ্জ মহল্লার বাসিন্দা। তার স্ত্রী মারা গেছেন ১১ বছর আগে। একমাত্র মেয়ের বিয়ে হওয়ায় তাকে দেখাশোনা করার এখন কেউ নেই।

এ বিষয়ে নুরল ইসলামের এক আত্মীয় আলহাজ্ব হাফেজ আব্বাস আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত বছরের ৮ মার্চ হাফেজ নুরল ইসলাম স্ট্রোক করেন। এরপর ময়মনসিংহ মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে তার চিকিৎসা করালেও কোনো উন্নতি হয়নি। তার আর্থিক অবস্থাও খারাপ। পরিবারে কোনো ছেলে নেই। একমাত্র মেয়ের বিয়ে হওয়ায় তাকে দেখার দায়িত্ব আমাকে নিতে হয়েছিল। ফুটফুটে মেয়েটার সংসার এখন ভাঙার পথে। কারণ মেয়েটি শ্বশুরবাড়ি চলে গেলে নুরলকে দেখাশোনার কেউ থাকে না। 

হাফেজ নুরলের এক ছাত্র মফিযুল ইসলাম। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা শত শত ছাত্র স্যারের কাছ থেকে দ্বীনি শিক্ষা নিয়েছি। আজ একবেলা খাবারের জন্য তাকে অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। তার বাড়ির পাশের একটি মাদরাসা থেকে মাঝে মাঝে খাবার আসে। একজন কোরআনের হাফেজ এতোটা মানবেতর জীবন-যাপন করবেন তা আমাদের জানা ছিল না। 

এ বিষয়ে জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আরিফুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইতোমধ্যে হাফেজ নুরল ইসলামের জন্য একটি প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমানে তার ভাতা কার্ডটি অফিসে জমা আছে। কিছু অফিসিয়াল নিয়ম মানলে তাকে কষ্ট করে ব্যাংকে আসতে হবে না। ভাতার সম্মানী বিকাশ অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। সব ঠিকঠাক থাকলে হয়তো আগামী রোববার তিনি দ্বিতীয় দফায় টাকা উঠাতে পারবেন।

জাহিদুল খান সৌরভ/এসপি