রাজবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ প্যানেল চেয়ারম্যানের মৃত্যু
আব্দুল গনি মন্ডল
দুর্বৃত্তদের হাতে গুলিবিদ্ধ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল গনি মন্ডল (৫২) মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর।
বিজ্ঞাপন
আব্দুল গনি মন্ডল দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ওমর আলী মোল্লা পাড়া এলাকার বিন্দু মোল্লার ছেলে ও দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান।
এর আগে বুধবার (৩১ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের তার নিজ বাড়ির পাশে তাকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাকে সাভার এনাম মেডিকেলে নেওয়া হলে আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
বিজ্ঞাপন
তার মৃত্যুর খবর শুনে এলাকাতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে এলাকাতে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে একটি চায়ের দোকানে চা খেয়ে বাড়ি ফিরছিলেন আব্দুল গনি মন্ডল। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে করে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে প্রথমে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
সম্প্রতি গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ১১ মার্চ রাতে প্রতিপক্ষের হামলায় গোয়ালন্দ পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র নজরুল ইসলাম মন্ডলের ভাই ও উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা মন্ডলসহ ৭ জন আহত হয়।
এরপর ১৯ মার্চ শুক্রবার রাত ৯টার দিকে গোয়ালন্দ পদ্মার মোড়ের কাছে ঘুনাপাড়া এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান মন্ডল (৪৫) গুরুতর আহত হয়। গোয়ালন্দ থেকে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা তার প্রাণনাশের জন্য এ হামলা চালায়। এখনো তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মীর সামসুজ্জামান/এসপি