ফাঁকা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মানতে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছেন সরকার। দেশের অনেক পর্যটন স্পট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পর্যটন নগরী কক্সবাজার আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ ঘোষণা না করলেও সৈকতে নামতে দেওয়া হচ্ছে না কাউকে।

১৮ দফা বাস্তবায়নে বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) দুপুর থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন। এ সময় সৈকতের কিটকট চেয়ার, বিচ বাইক, ওয়াটার বাইক থেকে সংশ্লিষ্ট সকলকে উঠে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়।

অভিযানকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া সুলতানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, পর্যটন নগরীর সমুদ্র সৈকতে সরকারের ১৮ দফা সিদ্ধান্ত প্রয়োগ করতে সৈকত থেকে পর্যটকদের উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। হোটেল-মোটেলেও স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশনা না মানা হলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গণপরিবহণে ১৮ দফা বাস্তবায়নে অভিযানে নামে জেলা পুলিশ। এ সময় শহরের হলিডে মোড়, সুগন্ধ্যা, লাবনী, কলাতলী মোড়ে সাধারণ মানুষের মাঝে বিনামূল্য মাস্ক বিতরণ করেন পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান। তিনি বলেন, ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি আরও একটি বিশেষ টিম সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করছে। কোনোভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না এমন কাউকে সহজে ছাড় দেওয়া হবে না।

করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছেন সরকার। তারপরই বন্ধ হয়ে যায় টেকনাফ সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল। একই সঙ্গে সকাল থেকে কোনো পর্যটককে সৈকতে নামতে দেওয়া হয়নি।

মুহিববুল্লাহ মুহিব/এসপি