ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়ন থেকে অস্ত্র উদ্ধার মামলায় একজনের ১৭ বছর ও অন্যজনের ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৩০ জুলাই) ফেনীর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালত-২ এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ মো. কায়ছার মোশাররফ ইউসুফ এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- জামশেদ আলম (৩৯) এবং মো. আলা উদ্দিন (৩৬)। রায় ঘোষণার সময় তারা দুজনই পলাতক ছিলেন। 

আসামি জামশেদ আলম সোনাগাজীর মধ্যম চরচান্দিয়া গ্রামের অলি মিজি বাড়ির মো. নুরুজ্জামানের ছেলে, অন্যজন মো. আলা উদ্দিন একই বাড়ির মো. আব্দুল হকের ছেলে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি দ্বিজেন্দ্র কুমার কংশ বণিক ঢাকা পোস্টকে জানান, দুই আসামি আত্মসমর্পণ বা যেদিন গ্রেপ্তার হবেন ওইদিন থেকে এ রায় কার্যকর হবে। এ মামলার ১৪ সাক্ষীর মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। চলতি বছরের ২১ জুন এ মামলার সর্বশেষ সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। ওইদিন সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত রায়ের দিন ধার্য করেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রবিউল হক জানান, ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর রাতে সোনাগাজীর চরচান্দিয়া ইউনিয়নের মধ্যম চরচান্দিয়া ইদগাহ সংলগ্ন অলি মিজির নতুন বাড়িতে ডাকাতির জন্য একদল দুর্বৃত্ত একত্রিত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে জামশেদ আলম এবং মো. আলা উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। এসময় জামশেদ আলমের কাছ থেকে ৫ রাউন্ড গুলিভর্তি একটি রিভলভার ও আলা উদ্দিনের কাছ থেকে একটি দেশীয় পাইপগান উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় পরদিন সোনাগাজী মডেল থানার এএসআই মো. শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক মোতাহের হোসেন তদন্ত শেষে দুইজনকে অভিযুক্ত করে ২০১৩ সালের ৪ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা দেন।

তারেক চৌধুরী/এমজে