বরগুনার তালতলীতে যৌতুকের জন্য রেশমা আক্তার (১৮) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।

শনিবার (২৯ জুলাই) রাত ১১ টার দিকে উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের উওর গেন্ডামারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ একই ইউনিয়নের সেরাজ মোল্লার মেয়ে।

নিহত রেশমা আক্তারের বাবা সেরাজ মোল্লা বলেন, সাত মাস আগে একই এলাকার আনোয়ার হাওলাদারের ছেলে সুমনের সঙ্গে রেশমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সুমন ও তার পরিবারের সদস্যরা যৌতুকের জন্য তাকে প্রায়ই নির্যাতন করত। সম্প্রতি সুমন পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন শুরু করলে একপর্যায়ে অতিষ্ঠ হয়ে গতকাল শনিবার বিকেলে রেশমা আক্তার বাবার বাড়িতে চলে আসে।

পরে বিষয়টি মীমাংসা করে রাত ৯টার দিকে রেশমা আক্তারকে বাবার কাছ থেকে নিয়ে যায় স্বামী সুমন। এর কিছুক্ষণ পর শনিবার (২৯ জুলাই) মধ্যরাতেই সুমন রেশমা আক্তারের পরিবারকে জানায়, রেশমা আক্তার অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। পরে বিষয়টি তালতলী থানা পুলিশকে অবহিত করলে রেশমা আক্তারের লাশ উদ্ধার করে।

তিনি আরও বলেন, আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। এরপর আমাদের খবর দেয়- আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। হত্যার দেড় ঘণ্টা আগে মেয়ে আমার বাড়ি থেকে ভালো মানুষের মতো হেঁটে গেছে। এই মানুষ কিভাবে মারা গেল। নিশ্চয়ই আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সুমন ও তার পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। তাদের মুঠোফোন নম্বরে কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমি নিজেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। মরদেহের গলায় কালো দাগ রয়েছে। বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে।

খান নাঈম/এমজে