সামান্য বৃষ্টিতে ডুবে যায় হাসপাতাল-স্কুল-মসজিদে যাওয়ার প্রধান সড়ক
রাজবাড়ী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সজ্জনকান্দার পাবলিক হেলথ মসজিদ থেকে টেকনিক্যাল স্কুল হয়ে হাসপাতালে যাওয়ার সড়কটির বেহাল অবস্থা। ব্যস্ততম এই এলাকার কয়েকটি সড়কে উন্নয়ন ও সংস্কারের ছোঁয়া নেই দীর্ঘদিন।
সামান্য বৃষ্টি হলে জমে যাচ্ছে হাঁটু পানি। বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দ ও জলাবদ্ধতায় সড়কটি হয়ে পড়েছে চলাচলের অনুপযোগী। এতে বেশ দুর্ভোগে পৌরবাসী। কাদা পানিতে ডুবে থাকা সড়ককে দেখে মনে হয় যেন মরা খাল। এতে অসাবধনতায় গর্তে পড়ে ঘটছে দুর্ঘটনা।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা যায়, ওই সড়কের আধা কিলোমিটার রাস্তার পুরোটাই বৃষ্টি হলে পানির নিচে তলিয়ে যায়। এই জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কে রয়েছে হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ, ক্লিনিক। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় হাঁটু পানি হয়ে যায়। এতে পথচারীদের চলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়।
এছাড়াও পাবলিক মসজিদ থেকে হাসপাতাল হয়ে দুই নম্বর রেলগেট পর্যন্ত সড়কেরও বেহাল দশা। প্রায় তিন কিলোমিটার এ সড়কের দীর্ঘদিন সংস্কার হয়নি। বিভিন্ন স্থানে খোয়া উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে গর্ত। সড়কের পাশের ড্রেনও সংস্কার হয়নি দীর্ঘদিন। ফলে ময়লা আবর্জনায় ড্রেনগুলো বন্ধ প্রায়। তাই বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হয় সড়কে।
বিজ্ঞাপন
ভোকেশনাল মোড়ে হোটেল ব্যবসায়ী ইসলাম বলেন, বৃষ্টি হলেই আমার দোকানের সামনে হাঁটু পানি হয়ে যায়। যখন যানবাহন যায় তখন পানি আমার দোকানের মধ্যে চলে আসে। খুবই খারাপ অবস্থার মধ্যে আছি। দ্রুত এ সমস্যা নিরসনের দাবি জানান তিনি।
সদর হাসপাতালে ভর্তি রোগী দেখতে যাচ্ছিলেন রবিউল ইসলাম শান্ত নামের এক ব্যাক্তি। তিনি বলেন, রেলগেট থেকে ব্যাটারিচালিত অটোতে এসে পাবলিক মোড়ে নেমে হেঁটে হাসপাতালে যাচ্ছিলাম। এসময় ভোকেশনাল মোড় এলাকায় দেখি হাঁটু পানি। পানির মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় গর্তের মধ্যে পা পড়ে ভিজে গেছি।
ভোকেশনাল মোড় এলাকায় ফটোকপি ব্যবসায়ী সুজন বলেন, বৃষ্টি হলেই আমার দোকানের সামনে হাঁটু পানি থাকে। পানি বের হওয়ার কোনো জায়গা নেই। পানি পার হয়ে কেউ আমার দোকানে আসতে চায় না। এ কারণে ব্যবসার অবস্থা খুব খারাপ যাচ্ছে।
টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়ামিন, রিয়াজ, নিশাদ, জমিরসহ একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছে, বৃষ্টির মধ্যে তাদের স্কুলে যেতে অনেক কষ্ট হয়। রাস্তা হাঁটু পানি থাকে, সব ভিজে যায়। এছাড়াও নোংরা পানির কারণে ঘায়ে চুলকানি হয়। তারা অবিলম্বে এই রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়েছে।
মসজিদের নামাজ পড়তে আসা একাধিক মুসল্লি বলেন, বৃষ্টি হলেই আমাদের মসজিদের সামনে পানি জমে থাকে। নোংরা পানি পেরেয়ি মসজিদে আসতে হয়। অনেক সময় পাঞ্জাবি, পায়জামা ভিজে যায়। খুবই খারাপ অবস্থা।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, বেশকয়েক বছর থেকে রাস্তাটির কোনো সংস্কার নেই। রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কার না হওয়ায় বৃষ্টি হলেই রাস্তা ডুবে থাকে পানিতে। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে বেহাল দশা কিন্তু পৌরসভার কোনো নজর নেই এখানে।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র আলমগীর শেখ তিতু বলেন, আমি রাস্তাটি পরিদর্শন করেছি। পানি বের করে দেওয়ার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএম