গাজীপুরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

গাজীপুর মহানগরের চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকায় শুক্রবার দুপুরে হেফাজত কর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ২৮১ জন হেফাজত নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। শুক্রবার (২ এপ্রিল) রাতে বাসন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০০/২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ ওইদিন ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে।

বাসন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ফারুক বলেন, সরকারি কাজে বাধা ও দাঙ্গা করার অপরাধে এ মামলা করা হয়েছে। মামলার ২১ আসামিকে ঘটনার দিনই গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যরা পলাতক রয়েছে।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার থোয়াই অং প্রু মারমা বলেন, শুক্রবার জুমার নামাজের পর হেফাজত কর্মীরা চান্দনা ঈদগাহ মাঠে জমায়েত হতে থাকেন। পরে তারা পাশের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গিয়ে বিক্ষোভের চেষ্টা করে। এ সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে তাদের উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এতে কমপক্ষে ৮ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। তখন পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে মৃদু লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। তারাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে।

হেফাজতে ইসলামের গাজীপুর জেলা কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক মুফতি নাসির উদ্দিন খান বলেন, শুক্রবার দুপুরে কেন্দ্রীয় বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জুম্মার নামাজের পর গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় হেফাজত কর্মী ও হেফাজতপন্থী মুসুল্লিরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে ঈদগাহ ময়দানে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের জন্য অবস্থান নেন। এ সময় পুলিশ গিয়ে আকস্মিকভাবে তাদের কর্মীদের ওপর লাঠি চার্জ ও রাবার বুলেট ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে অন্তত ১৫-২০ হেফাজত কর্মী আহত হন।

এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে তাদের দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। পাশের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হয়। 

শিহাব খান/এসপি